গঠনতন্ত্র

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

২০২৩ এর ২৯ আগস্ট ঢাকার তোপখানা রোডে শিশুকল্যাণ একাডেমিতে সাংবাদিক সম্মেলনে দলের নাম পরিবর্তন করে এনএলপি করা হয়।

ধর্ম-কর্ম-সাম্যবাদ

ন্যাশনাল লেবার পার্টি (এনএলপি)

প্রধান কার্যালয়: ৩৭/২, জামান টাওয়ার, লিফট-১৫, (রুফটপ) পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০, ইমেইল: laborparty.bd23@gmail.com, সেল: 01521-776307, 01327-429880

সাম্য, সুবিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় শোষণমুক্ত ইনসাফভিত্তিক জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ১৯৭৭ সালের ২২ অক্টোবর লেবার পার্টির জন্ম। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯মাস প্রত্যক্ষ যুদ্ধের মধ্য দিয়ে লাখো শহীদের আত্মত্যাগে স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আমরা স্বাধীনতা রাষ্ট্রের নাগরিক! স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সংহত করা, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে দৃঢ়তা প্রদান, শত শত বছর ধরে লালিত আর্থ-সামাজিক অস্থিরতার অবসান ঘটিয়ে স্বাধীন জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তোলা এবং অধিকতর সামাজিক ন্যায়বিচার অর্জনের লক্ষ্যে কিছু কিছু মৌলিক বিষয়ে পুরিপূর্ণ ঐক্য গড়ে তোলার আকাঙ্খা পুরণ ন্যাশনাল লেবার পার্টির লক্ষ্য।

দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ইসলামী আদর্শ সমাজ জীবনে প্রতিফলিত করার এবং তার ভিত্তিতে জাতীয় সংস্কৃতি বিকাশের প্রয়াস এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্ব-স্ব ধর্মানুযায়ী আচার অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য ও স্বীকৃতির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ন্যাশনাল লেবার পার্টির উদ্দেশ্য।

অতীতের গণসংগ্রামগুলোর ইতিবাচক শিক্ষাকে অনুধাবন করে, জনগণকে রাজনৈতিক ভাবে সুসংগঠিত করে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান, সমাজের সকল প্রকার জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়নের মুল্যোৎপাটন এবং জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সামাজিক ন্যায় বিচার ও ইনসাফভিত্তিক জনকল্যাণ রাষ্ট্র কাঠামো গড়ার উদ্দেশ্য ন্যাশনাল লেবার পার্টির সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

ধারা- ১: ন্যাশনাল লেবার পার্টির নাম ও কার্যালয়

ক) এই রাজনৈতিক দলের নাম হবে ন্যাশনাল লেবার পার্টি, সংক্ষেপে (এনএলপি)। ইংরেজিতে NATIONAL LABOUR PARTY (NLP)

খ) পার্টির কেন্দ্রীয় অফিস রাজধানী ঢাকার থাকবে। অনুরূপভাবে জেলা/মহানগর, উপজেলা/থানা ও পৌরসভাতে স্ব-স্ব অফিস থাকবে।

গ) এই রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠা দিবস ১৯৭৭ সালের ২২ অক্টোবর।

ধারা- ২: ন্যাশনাল লেবার পার্টির পতাকা

ক) ন্যাশনাল লেবার পার্টির একটি নিজস্ব পতাকা থাকবে।

খ) পতাকার পটভূমিতে সবুজ, হলুদ, লাল রং এবং মধ্যভাগে পঞ্চমুখ বিশিষ্ট পাঁচটি তারকা খচিত থাকবে।

গ) লাল রং রক্ত বিধৌত স্বাধীনতার চেতনার প্রতীক।

ঘ) হলুদ অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে শান্তির প্রতীক।

ঙ) গাঢ় সবুজের আস্তরণ এদেশের শস্য শ্যামল প্রকৃতির রূপ।

চ) মধ্যভাগে পঞ্চমুখ বিশিষ্ট তারকা পাঁচটি মৌলিক অধিকার, ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ ও পাঁচ দফা মূলনীতির পরিচয় বহন করবে।

ধারা- ৩: ন্যাশনাল লেবার পার্টির প্রতীক ও লোগো

ক) ন্যাশনাল লেবার পার্টির একটি নির্বাচনী প্রতীক থাকবে। প্রতীকটি হবে ইলিশ মাছ।

খ) ন্যাশনাল লেবার পার্টির একটি লোগো থাকবে। লোগো পাশাপাশিভাবে সবুজ, হলুদ ও লাল পটভূমি সমভাবে গোলাকৃতি হবে। দুই পার্শ্বে বাংলা ও ইংরেজিতে ন্যাশনাল লেবার পার্টি খচিত থাকবে। মধ্যস্থানে কালো রং-এ পঞ্চমুখ বিশিষ্ট তারকা থাকবে। সবুজ হলুদ ও লাল গোলাকৃতির পটভূমির কালো রং-এর রেখাবৃত্ত দ্বারা পাঁচটি পঞ্চমুখ বিশিষ্ঠ তারকা খচিত থাকবে। সমুদয় অংকন সমুহ একটি গোলাকৃতির রেখা দ্বারা পরিমণ্ডিত থাকবে।

গ) সবুজ ও লাল রং-এর পটভূমি শস্য-শ্যামল বাংলাদেশের প্রতীক। লাল রং মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মত্যাগের রক্ত বিধৌত স্বাধীনতার প্রতীক। হলুদ রং কর্মোদ্যম সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ববোধ, অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধের শান্তির প্রতীক। পঞ্চমুখ বিশিষ্ট তারকা পাঁচটি (অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান) মৌলিক অধিকার ও ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হবে।

ধারা-৪: ন্যাশনাল লেবার পার্টির মৌলিক আদর্শ.

ক) স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা।

খ) পরমত সহিষ্ণুতা।

গ) বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধ।

ঘ) ইসলামী আদর্শ ও বিশ্বাস।

ঙ) সকল ধর্মের মত প্রকাশের স্বাধীনতা।

চ) নারী ও শিশুর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।

ছ) মানবাধিকার সংরক্ষণ।

ধারা- ৫: ন্যাশনাল লেবার পার্টির মুলনীতি

ক) ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে সকল মৌলিক প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য এবং জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা।

খ) জাতীয় স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব নিরঙ্কুশ করা। সকল প্রকার

আধিপত্যবাদ ও সম্প্রসারণবাদ এবং তাদের এ দেশীয় সামাজিক-রাজনৈতিক ভিত্তির বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রাম পরিচালনা এবং বিশ্বের সকল জাতি, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্ব ও মুসলিম দেশগুলির আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের সাথে একাত্মতা অর্জন।

গ) ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা সংগ্রানের চেতনা সংরক্ষণ।

ঘ) সামাজিক ন্যায়বিচার ভিত্তিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।

ঙ) সামাজিক প্রগতির পূর্বশর্ত অভ্যান্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নির্বিঘ্ন করা এবং গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো সমুহের দৃঢ়তা প্রদান।

চ) স্বাধীন জাতীয় অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসলামী অর্থনীতির আলোকে পুঁজি ও শিল্প-বাণিজ্য বিকাশের পথ প্রশস্ত করা।

ছ) দেশীয় প্রযুক্তি ও মেধা বিকাশের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও বিকাশে অগ্রাধিকার প্রদান।

জ) কৃষি ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের মাধ্যমে কৃষকের অবস্থার উন্নয়ন ও বিকাশ সাধন।

ঝ) শ্রমের ন্যায্য মজুরি প্রতিষ্ঠা, বন্ধ কল-কারখানা চালুসহ নতুন নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপন করে বোর ও কর্মহীন জনগোষ্ঠিকে জনশক্তিতে পরিণত করা।

ঞ) সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও অনুভূতির প্রতি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অবিচল আস্থা, শ্রদ্ধা ও মর্যাদা প্রদর্শন। সমাজ জীবনে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠা। সকল ধর্মমতের প্রতি সহনশীলতা প্রদর্শন এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা সংরক্ষণ।

ট) হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ সংখ্যালঘু জাতিসত্ত্বাসমুহের নিজস্ব কৃষ্টি-কালচার ও বৈষ্টিসমুহের বিকাশ ও সামাজিক-অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণ।

ঠ) দেশীয় সাংস্কৃতির বিকাশ, চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি ও পৃষ্ঠপোষকতা সাধন।

ধারা- ৬: ন্যাশনাল লেবার পার্টির সদস্য হওয়ার যোগ্যতা

ক) ১৮ বছর বা ততোধিক বয়সের যে কোন প্রকৃত ও সৎ বাংলাদেশী নাগরিক ন্যাশনাল লেবার পার্টির প্রাথমিক সদস্য হতে পারবেন। প্রার্থী হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সংগঠনের ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র ও কর্মসুচীর প্রতি অবশ্যই আনুগত্য ঘোষণ করতে হবে।

খ) আবেদনকারীকে ন্যাশনাল লেবার পার্টির সুনির্দিষ্ট রশিদের বিনিময়ে ধার্যকৃত প্রাথমিক সদস্যপদ চাঁদা প্রদান করে সংগঠনের নির্ধারিত আবেদনপত্রে আবেদন করতে হবে।


গ) প্রত্যেকটি শাখা অফিস আঞ্চলিক সদস্যদের তালিকা সংরক্ষণ করবে। ন্যাশনাল লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পার্টির সর্বমোট সদস্য সংখ্যা, সদস্যদের নাম ও ঠিকানাসমূহ বিধি সম্মতভাবে সংরক্ষিত হবে।

ঘ) অন্য কোন রাজনৈতিক দল হতে কোন ব্যক্তি ন্যাশনাল লেবার পার্টিতে যোগ দিতে চাইলে প্রথমে তাকে পূর্বের দল হতে পদত্যাগ করিয়া উহার প্রমান দেখাতে হবে।

ধারা- ৭: ন্যাশনাল লেবার পার্টির প্রাথমিক চাঁদা

ক) পার্টির প্রাথমিক সদস্যপদ চাঁদা ১০০টাকা এবং বাৎসরিক সদস্যপদ নবায়ন চাঁদা ১০০টাকা হবে।

খ) চাঁদা সংগ্রহের রশিদ বই অবশ্যই ক্রমিক সংখ্যা ও মুড়িযুক্ত হইতে হইবে এবং এই রশিদ বই ছাপানো ও সরবরাহের অধিকার একমাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কাছে সংরক্ষিত থাকবে।

গ) সদস্য পদের চাঁদা বাবদ সংগৃহিত অর্থ পার্টির নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে জমা হবে।

ধারা- ৮: ন্যাশনাল লেবার পার্টির সদস্য হওয়ার অযোগ্যতা

ক) বাংলাদেশের আইনানুগ নাগরিক নন এমন কোন ব্যক্তি ন্যাশনাল লেবার

পার্টির সদস্য হওয়ার জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

খ) গোপন সশস্ত্র রাজনীতিতে বিশ্বাসী ও সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডাতাবিরোধী ও গণবিরোধী কোন ব্যক্তিকে ন্যাশনাল লেবার পার্টির সদস্যপদ দেওয়া যাবে না।

গ) অপ্রকৃতিস্থ ও আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত কোন ব্যক্তি পার্টির সদস্যপদ লাভের জন্য বিবেচিত হবে না।

ঘ) অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য হলে পার্টির সদস্য হওয়ার জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

ধারা- ৯: ন্যাশনাল লেবার পার্টির সদস্যপদ বাতিল

এই ধারা বলে কোনো সদস্যের পদ বাতিলযোগ্য হবে যদি-

ক) তার বিরুদ্ধে আনীত সংগঠনের শৃংখলা, আদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ প্রমানিত হয়।

খ) তিনি আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন।

গ) তিনি অপ্রকৃতস্থ বা মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।

ঘ) ন্যাশনাল লেবার পার্টি কর্তৃক মনোনীত কোন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার.

পর অন্য যে কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করলে তার প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল বলে গণ্য হবে।

ধারা- ১০: ন্যাশনাল লেবার পার্টির সাংগঠনিক কাঠামো বিন্যাস

ন্যাশনাল লেবার পার্টির সাংগঠনিক কাঠামো অনুসারে নিম্নবর্ণিত স্তরে গঠিত হবে:

ক) ওয়ার্ড পর্যায়ে ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি।

খ) ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটি।

গ) উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটি।

ঘ) পৌর এলাকায় পৌর নির্বাহী কমিটি।

ঙ) জেলা ও সিটি কর্পোরেশনগুলোতে মহানগর কমিটি। (জাতীয় নির্বাহী কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে যে কোন জেলা/মহানগরে আয়তন ও জনসংখ্যার বিবেচনায় বিভক্ত করা যাবে। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি বিভক্তিত অংশ জেলা কমিটির মর্যাদা লাভ করবে।

চ) জাতীয় নির্বাহী কমিটি।

এ ছাড়া ও ন্যাশনাল লেবার পার্টির ৩টি বিশেষ কমিটি থাকবে।

ক) ন্যাশনাল লেবার পার্টি পার্লামেন্টারি বোর্ড

খ) ন্যাশনাল লেবার পার্টি পার্লামেন্টারি বা সংসদীয় পার্টি

গ) ন্যাশনাল লেবার পার্টির উপদেষ্টা পরিষদ (চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত)

ধারা- ১১: ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন

ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটি ১৫ সদস্য বিশিষ্ট হবে।

ক) সভাপতি                                                    ১জন

খ) সহ-সভাপতি                                              ১জন 

গ) সাধারণ সম্পাদক                                        ১জন

ঘ) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক                                  ১জন

ঙ) সাংগঠনিক সম্পাদক                                   ১জন

চ) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক                              ১জন

ছ) কোষাধ্যক্ষ                                                ১জন

ঝ) প্রচার সম্পাদক                                         ১জন

ঞ) ধর্মবিষয়ক সম্পাদক                                ১জন

ট) মহিলাবিষয়ক সম্পাদক                            ১জন

ঠ) শ্রম সম্পাদক                                          ১জন

ড) দফতর সম্পাদক                                    ১জন

ঢ) নির্বাহী সদস্য                                         ২জন   

গঠন প্রক্রিয়া: ক) ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ইউনিট সমূহের ন্যাশনাল লেবার পার্টির সদস্যদের ভোটে ওয়ার্ড নির্বাহী কমিটি এবং ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ওয়ার্ড সমুহের পরিষদের সদস্যদের ভোটে ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত হইবে। উক্ত কমিটির মেয়াদ হবে ২ বছর। কিন্তু পরবর্তী কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত কমিটির কার্যকাল বহাল থাকবে।

তবে শর্ত থাকে যে, উপরোক্ত কমিটি গঠনে ন্যূনতম ৩৩% সদস্যপদ মহিলা সদস্য দ্বারা পূরণ করার প্রয়াস থাকতে হবে। তবে ৩৩% সদস্যপদ মহিলা সদস্য দ্বারা পুরণ বাধ্যতামূলক নয়।

খ) কমিটি কোন কারণে ভেঙ্গে দেয়া হলে বা অন্য কোন কারণে নির্বাচিত কমিটি না থাকিলে পরবর্তীতে যথাসময়ে নির্বাচন করে কমিটি গঠনের পূর্ব পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা কমিটি একটি এডহক (অস্থায়ী) কমিটি মনোনায়নের মাধ্যমে করিবে। এডহক কমিটি গঠনের তারিখ হতে পরবর্তী ৪ মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে গর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা বাঞ্চনীয়।

ধারা- ১২: উপজেলা/থানা কমিটি গঠন

উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটি ১৭ সদস্য বিশিষ্ট হবে।

ক) সভাপতি                                                            ১জন

খ) সহ-সভাপতি                                                       ১জন

গ) সাধারণ সম্পাদক                                                ১জন

ঘ) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক                                         ১জন

ঙ) সাংগঠনিক সম্পাদক                                          ১জন

চ) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক                                     ১জন

ছ) কোষাধ্যক্ষ                                                        ১জন

জ) প্রচার সম্পাদক                                                 ১জন

ঝ) ধর্মবিষয়ক সম্পাদক                                        ১জন

ঞ) মহিলাবিষয়ক সম্পাদক                                    ১জন

ট) ছাত্র ও যুব কল্যাণ সম্পাদক                               ১জন

ঠ) শ্রম সম্পাদক                                                   ১জন

ড) দফতর সম্পাদক                                             ১জন

ঢ) নির্বাহী সদস্য                                                  ৪ জন

উপজেলা/থানা কমিটিতে সর্বোচ্চ ৭ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ থাকতে পারবে। উপদেষ্টা পরিষদ কার্যকরী কমিটিকে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক ব্যাপারে উপদেশ ও দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন। তারা কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে তাদের ভোটাধিকার থাকবে না।

১। গঠন প্রক্রিয়া: উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটি অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ইউনিয়ন সমুহের ন্যাশনাল লেবার পার্টির সদস্যদের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের মাধ্যমে ভোটে উপজেলা/থানা নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত হবে। উক্ত কমিটির মেয়াদ হবে ২ বছর। কিন্তু পরবর্তী কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত কমিটির কার্যকাল বহাল থাকবে।

তবে শর্ত থাকে যে, উপরোক্ত কমিটি গঠনে ন্যূনতম ৩৩% সদস্যপদ মহিলা সদস্য দ্বারা পূরণ করার প্রয়াস থাকতে হবে। তবে ৩৩% সদস্যপদ মহিলা সদস্য দ্বারা পুরণ বাধ্যতামুলক নয়।

২। উপজেলা/থানা কাউন্সিল উপজেলা/থানা নির্বাচিত/আহ্বায়ক কমিটিরসকল সদস্য উপজেলা/থানার অন্তর্গত প্রতিটি ইউনিয়ন হতে ১৫ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হবে। কাউন্সিলরগণ অবশ্যই পরিষদের ইউনিয়ন কমিটির সদস্য হবে। এ ছাড়া ইউনিয়ন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদাধিকার বলে উপজেলা/থানা কাউন্সিলর হবে।উপরোল্লিখিত কাউন্সিলরদের ভোটে উপজেলা/থানা কমিটি নির্বাচন করা হবে।

৩। কমিটি কোন কারণে ভাঙ্গিয়া দেয়া হলে বা অন্য কোন কারণে নির্বাচিত কমিটি না থাকলে পরবর্তীতে যথাসময়ে নির্বাচন করিয়া কমিটি গঠনের পূর্ব পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা কমিটি একটি এডহক (অস্থায়ী) কমিটি মনোনয়নের মাধ্যমে গঠন করবে। এডহক কমিটি গঠনের তারিখ হতে পরবর্তী ৪ মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা বাঞ্ছনীয়।

৪। জেলা কাউন্সিলের জন্য উপজেলা/থানা। ন্যাশনাল লেবার পার্টির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল শেষে উপজেলা/থানা কমিটির প্রথম, সভায় কমিটির সদস্যদের মধ্যে হতে ২৫ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত করবে।

ধারা- ১৩: পৌরসভা কমিটি গঠন

পৌরসভা নির্বাহী কমিটি ১৭ সদস্য বিশিষ্ট হবে:

ক) সভাপতি                                                                 ১জন

খ) সহ-সভাপতি                                                            ১জন

গ) সাধারণ সম্পাদক                                                     ১জন

ঘ) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক                                               ১জন

ঙ) সাংগঠনিক সম্পাদক                                                 ১জন

চ) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক                                            ১জন

ছ) কোষাধ্যক্ষ                                                               ১জন

জ) প্রচার সম্পাদক                                                        ১জন

ঝ) ধর্মবিষয়ক সম্পাদক                                                ১জন

ঞ) মহিলাবিষয়ক সম্পাদক                                            ১জন

ট) ছাত্র ও যুব কল্যাণ সম্পাদক                                       ১জন

ঠ) শ্রম সম্পাদক                                                           ১জন 

ড) দফতর সম্পাদক                                                     ১জন

ঢ) নির্বাহী সদস্য                                                          ৪ জন

পৌরসভা নির্বাহী কমিটিতে সর্বোচ্চ ৭ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ থাকতে পারবে। উপদেষ্টা পরিষদ কার্যকরী কমিটিকে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক ব্যাপারে উপদেশ ও দিক নির্দেশনা প্রদান করবেন। তারা কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে তাদের ভোটাধিকার থাকবে না।

১। গঠন প্রক্রিয়া: পৌর নির্বাহী কমিটি ছি-বার্ষিক কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রতি দুই বছর পর পর নির্বাচিত হবে। তবে কোন কারণে পরবর্তী কমিটি গঠনে বিলম্ব হইলে নতুন কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত পুরাতন কমিটি কার্য চালিয়ে যাবে। তবে শর্ত থাকে যে, উপরোক্ত কমিটি গঠনে ন্যূনতম ৩৩% সদস্যপদ মহিলা সদস্য দ্বারা পূরণ করার প্রয়াস থাকতে হবে। তবে ৩৩% সদস্যপদ মহিলা সদস্য ছারা পুরণ বাধ্যতামূলক নয়।

২। পৌর কাউন্সিল : পৌর কাউন্সিল পৌর নির্বাচিত/আহ্বায়ক কমিটির সকল সদস্য কাউন্সিলর হবেন। পৌর অন্তর্গত প্রতিটি ওয়ার্ড হতে ৯ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হবে। কাউন্সিলরগণ অবশ্যই লেবার পার্টির ওয়ার্ড কমিটির সদস্য হবে। এ ছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদাধিকার বলে পৌর কাউন্সিলের কাউন্সিলর হবেন।

উপরোল্লিখিত কাউন্সিলরদের ভোটে পৌর নির্বাহী কমিটি নির্বাচন করা হবে।

৩। কমিটি কোন কারণে ভাঙ্গিয়া দেয়া হলে বা অন্য কোন কারণে নির্বাচিত কমিটি না থাকলে পরবর্তীতে যথাসময়ে নির্বাচন করিয়া কমিটি গঠনের পূর্ব পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা কমিটি একটি এডহক (অস্থায়ী) কমিটি মনোনয়নের মাধ্যমে গঠন করবে। এডহক কমিটি গঠনের তারিখ হতে পরবর্তী ৪ মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা বাঞ্ছনীয়।

৪। জেলা কাউন্সিলের জন্য পৌর কমিটির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের পর পৌর কমিটির প্রথম সভার কমিটির সদস্যদের মধ্যে হতে ১১ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত করবে।

ধারা- ১৪: জেলা/মহানগর কমিটি গঠন

জেলা/মহানগর নির্বাহী কমিটি ১৯ সদস্য বিশিষ্ট হবে:

ক) সভাপতি                                                            ১জন

খ) সহ-সভাপতি                                                        ১জন

গ) সাধারণ সম্পাদক                                                  ১জন

ঘ) সাধারণ সম্পাদক                                                  ১জন

ঙ) সাংগঠনিক সম্পাদক                                             ১জন

চ) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক                                         ১জন

ছ) কোষাধ্যক্ষ                                                           ১জন

জ) প্রচার সম্পাদক                                                     ১জন

ঝ) ধর্মবিষয়ক সম্পাদক                                              ১জন

ঞ) মহিলাবিষয়ক সম্পাদক                                          ১জন

ট) ছাত্র ও যুব কল্যাণ সম্পাদক                                      ১জন

ঠ) শ্রম সম্পাদক                                                          ১জন

ড) দফতর সম্পাদক                                                     ১জন

ঢ) নির্বাহী সদস্য                                                           ৬জন

জেলা/মহানগর নির্বাহী কমিটিতে সর্বোচ্চ ৯ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ থাকতে পারবে। উপদেষ্টা পরিষদ কার্যকরি কমিটিকে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক ব্যাপারে উপদেশ ও দিক নির্দেশনা প্রদান করবেন। তারা কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে তাহাদের ভোটাধিকার থাকবে না।

১। গঠন প্রক্রিয়া: জেলা/মহানগর নির্বাহী কমিটি দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রতি দুই বছর পর পর নির্বাচিত হবে। তবে কোন কারণে পরবর্তী কমিটি গঠনে বিলম্ব হইলে নতুন কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত পুরাতন কমিটি কার্য চালিয়ে যাবে

তবে শর্ত থাকে যে, উপরোক্ত কমিটি গঠনে ন্যূনতম ৩৩% সদস্যপদ মহিলা সদস্য দ্বারা পূরণ করার প্রয়াস থাকতে হবে। তবে ৩৩% সদস্যপদ মহিলা সদস্য দ্বারা পুরণ বাধ্যতামূলক নয়।

২। ন্যাশনাল লেবার পার্টির জেলা/মহানগর কাউন্সিল গঠিত হবে নিম্নলিখিত

পদ্ধতিতে: জেলা/মহানগর নির্বাচিত আহবায়ক কমিটির সকল সদস্য জেলা/মহানগরের কাউন্সিলর হবেন।

৩। উপজেলা/থানা কমিটির দ্বি-বার্ষিক কাউপিল অধিবেশনে উপজেলা/থানা কমিটি নির্বাচনের সময় প্রত্যেক উপজেলা থানা হতে ১১ জন কাউন্সিলর সংশ্লিষ্ট জেলা/মহানগর কমিটি নির্বাচনের কাউন্সিলর হিসাবে নির্বাচিত হবেন।

উক্ত ১১ জন ছাড়া উপজেলা/থানা (যদি থাকে) কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং তার অধীন প্রতিটি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর হবেন।

পৌর দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে পৌর কমিটি নির্বাচনের সময় প্রত্যেক পৌর এলাকা হতে সংশ্লিষ্ট জেলা/মহানগর কমিটি নির্বাচনের জন্য ৯ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত করবে। পৌর কমিটি (যদি থাকে) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক সংশ্লিষ্ট জেলা/মহানগর কমিটি নির্বাচনের কাউন্সিলর হিসাবে নির্বাচিত হবেন।

উপরোল্লিখিত কাউন্সিলরদের ভোটে পৌর নির্বাহী কমিটি নির্বাচন করা হবে।

৩। কমিটি কোন কারণে ভেঙ্গে দেয়া হলে বা অন্য কোন কারণে নির্বাচিত কমিটি না থাকলে পরবর্তীতে যথাসময়ে নির্বাচন করে কমিটি গঠনের পূর্ব পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা কমিটি একটি এডহক (অস্থায়ী) কমিটি মনোনায়নের মাধ্যমে গঠন করবে। এডহক কমিটি গঠনের তারিখ হতে পরবর্তী ৪ মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠ করা বাঞ্চনীয়।

৪। কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের জন্য জেলা/মহানগর কমিটির রি-বার্ষিক কাউন্সিলের পর প্রথম সভায় সংশ্লিষ্ট জেলা/মহানগর কমিটি হতো যে কোন ১৫ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন।

ধারা- ১৫: জাতীয় নির্বাহী কমিটি

ন্যাশনাল লেবার পার্টির জাতীয় নির্বাহী কমিটি হবে দলের নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী এবং নির্বাহী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কেন্দ্রীয় কমিটি। সংক্ষেপে জাতীয় নির্বাহী কমিটি নামে অবিহিত হবে। ন্যাশনাল লেবার পার্টির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ৩১ সদস্য বিশিষ্ট হবে।

ক) চেয়ারম্যান                                                                       ১জন 

খ) ভাইস চেয়ারম্যান                                                              ৬জন

ঘ) মহাসচিব                                                                           ১জন

ঙ) যুগ্ম-মহাসচিব                                                                    ৬জন

চ) সাংগঠনিক সম্পাদক                                                           ১জন

ছ) সহ সাংগঠনিক সম্পাদক                                                     ২জন

জ) অর্থ সম্পাদক                                                                    ১জন

ঝ) আন্তর্জাতিক সম্পাদক                                                        ১জন

ঞ) প্রচার সম্পাদক                                                                 ১জন

ট) দফতর সম্পাদক                                                                ১জন

ঠ) কৃষিবিষয়ক সম্পাদক                                                        ১জন 

ড) ধর্মবিষয়ক সম্পাদক                                                         ১জন

ঢ) মহিলাবিষয়ক সম্পাদক                                                      ১জন

ণ) ছাত্র ও যুব কল্যাণ সম্পাদক                                                ১জন

ত) শ্রমবিষয়ক সম্পাদক                                                         ১জন

থ) আইনবিষয়ক সম্পাদক                                                      ১জন

দ) নির্বাহী সদস্য                                                                   ৪ জন

১। জেলা/মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদাধিকার বলে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যভুক্ত হবেন। তারা ৪১ জন সদস্যের অতিরিক্ত থাকবেন। এছাড়া ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।

২। তবে শর্ত থাকে যে, উপরোক্ত কমিটি গঠনে ন্যূনতম ৩৩% সদস্যপদ মহিলা সদস্য দ্বারা পূরণ করার প্রয়াস থাকতে হবে। তবে ৩৩% সদস্যপদ মহিলা সদস্য দ্বারা পুরণ বাধ্যতামুলক নয়।

৩। কমিটি কোনো কারণে ভেঙ্গে দেয়া হলে বা অন্য কোনো কারনে নির্বাচিত কমিটি না থাকলে পরবর্তীতে যথাসময়ে নির্বাচন করে কমিটি গঠনের পূর্ব পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান একটি জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি গঠন করবেন। উল্লেখ্য যে, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের তারিখ হতে পরবর্তী ৪ মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠনের ব্যবস্থা করবেন।

ধারা- ১৬: ন্যাশনাল লেবার পার্টির জাতীয় কাউন্সিল পরিষদ

ক) ন্যাশনাল লেবার পার্টির জাতীয় কাউন্সিলই সর্বোচ্চ ফোরাম।

খ) প্রতি পাঁচ বছর পর দলের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিলের তারিখ স্থান ও সময় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা কর্তৃক নির্ধারিত হবে।

গ) পাঁচ বছর পর জাতীয় কাউন্সিল অধি প্রতিবেশনে পরিষদের চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ জাতীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত হবেন। অথবা কাউন্সিলে চেয়ারম্যান ও মহাসচিব নির্বাচিত হবার পর চেয়ারম্যান ও মহাসচিব জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্য সকল পদে নিয়োগ দান করতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবেন।

ঘ) প্রতি পাঁচ বছর পর জেলা/মহানগর শাখা সমুহ হইতে ন্যাশনাল লেবার পার্টির নির্দিষ্ট সংখ্যক নির্বাচিত কাউন্সিলর নিয়ে জাতীয় কাউন্সিল গঠিত হবে। প্রতিটি শাখা কমিটি পঞ্চবার্ষিকী কাউন্সিল অধিবেশনের পূর্বে জাতীয় নির্বাহী কমিটি কর্তৃক নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে স্ব-স্ব অঞ্চলের শাখা সমুহে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনী কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে। ঐ কাউন্সিল সভা সমূহ স্ব-স্ব কমিটির নেতৃত্ব নির্বাচন এবং জাতীয় কাউন্সিল সভায় যোগদানের জন্য নির্ধারিত সংখ্যক কাউন্সিলর নির্বাচিত করবে। নির্বাচিত কাউন্সিলরদের তালিকা নাম ও পূর্ণ ঠিকানাসহ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ দিনের মধ্যে রেজিষ্টার্ড পোস্টযোগে প্রেরণ করতে হবে।

ঙ) জাতীয় কাউন্সিলের জন্য কাউন্সিলর নির্ধারিত করতে হবে নিম্নেক্ত প্রক্রিয়ায়:

১। উনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

২। উপজেলা/থানা ও পৌর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক

৩। জেলা/মহানগর নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

৪। জেলা/মহানগর নির্বাহী কমিটির যে কোন ১৫ জন। যা জেলা/মহানগর কমিটির প্রথম সাধারণ সভায় নির্ধারণ করতে হবে।

উপরোক্ত হিসাব অনুযায়ী প্রতি জেলা/মহানগর এর মোট কাউন্সিলর নির্ধারিত হবে। তারা জাতীয় কাউন্সিলর নির্ধারিত হবেন। তারা কাউন্সিলে প্রতিনিধিত্ব করবেন। জেলা/মহানগর কমিটির মোট কাউন্সিলরের দ্বিগুণ সংখ্যা হবে জেলার ডেলিগেট।

চ) কোন আঞ্চলিক শাখা কোন কারণবশত যদি নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে জাতীয় কাউন্সিলের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক কাউন্সিলর ও তাহাদের স্ব স্ব শাখা কমিটি যথাযথ নিয়মে গঠন করতে ব্যর্থ হয়, তা হলে জাতীয় নির্বাহী কমিটি উক্ত নির্বাচনী অঞ্চলের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক কাউন্সিলর মনোনায়ন দিতে পারবে।

ছ) উপরোক্ত (৬) ধারায় মনোনীত কাউন্সিলরগণ কাউন্সিলের সকল অধিকার ভোগ করবেন। তবে জাতীয় কমিটিকে ঐ সকল অঞ্চলের ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচিত কমিটি ও কাউন্সিলর গঠন করতে হবে। ইতিমধ্যে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত অঞ্চলগুলোতে পার্টির মহাসচিবের প্রস্তাবে এডহক কমিটি গঠন করে কাজ চালাবেন।

জ) প্রত্যেক কাউন্সিলর সভায় যোগদানের পূর্বে জাতীয় কাউন্সিলের চাঁদা ১০০ (একশত) টাকা দপ্তর সম্পাদকের নিকট জমা করবেন। অন্যথায় কাউন্সিল অধিবেশনে যোগদানের যোগ্য হবেন না।

ঝ) ন্যাশনাল লেবার পার্টির কাউন্সিলে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সহাসচিবসহ জাতীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত হবে। কোনো কারণে সময়সতো কাউন্সিল অনুষ্ঠিত না হইলে পরবর্তী কাউন্সিল না হওয়া পর্যন্ত এই কমিটি বলবৎ থাকবে।

ধারা- ১৭: জাতীয় কাউন্সিল সংক্রান্ত বিশেষ বিধি

স্বাতীয় কাউন্সিল গঠনে বিলম্ব হলে বা কোনো কারণে জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে না পারলে জাতীয় নির্বাহী কমিটির পরামর্শ মোতাকে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান সংগঠনের বৃহৎ স্বার্থে সংগঠনের বিভিন্ন স্তর হইতে নির্দিষ্ট সংখ্যক কাউন্সিলর মনোনয়ন দিয়ে জাতীয় কাউন্সিল গঠন করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, নির্বাচিত কাউন্সিল গঠিত হলে আপনা হতেই মনোনীত কাউন্সিল বিলুপ্ত হবে।

ক) ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে জাতীয় কাউন্সিলের সভা প্রতি পাঁচ বছরে একবার জাতীয় নির্বাহী কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ ও স্থানে অনুষ্ঠিত হবে।

খ) চেয়ারম্যান প্রতি বছর নির্ধারিত তারিখ ও স্থানে জাতীয় কাউন্সিলের বাৎসরিক সভা আহবান করতে পারবেন। বাৎসরিক সাধারণ সভা ও জাতীয় কাউন্সিল সভায় মিলিত হয়ে ন্যাশনাল লেবার পার্টির বাৎসরিক কার্যক্রম পর্যালোচনা ও পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবেন।

গ) চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের অনুমোদনক্রমে যে কোন সময় কাউন্সিল সভা আহবান করতে পারবেন।

ঘ) কাউন্সিল সভা আহবান করতে সাধারণ ভাবে কমপক্ষে ৩০ দিনের নোটিশ দিতে হবে। বিশেষ বিবেচনায় ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান নোটিশের সময় কমাতে পারবেন। নোটিশে আলোচ্য বিষয় উল্লেখ করতে হবে।

ধারা- ১৮: ন্যাশনাল লেবার পার্টির কাউন্সিল সভার ক্ষমতা ও কার্যাবলী

ক) জাতীয় কাউন্সিলের দায়িত্ব ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান, নির্বাহী

চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ জাতীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচন করা।

খ) নির্বাহী কমিটির কার্যাবলী পর্যালোচনা, মহাসচিবের রিপোর্ট গ্রহণ ও ভবিষৎ কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা বিচার-বিশ্লেষণ ও নির্ধারণ করবে।

গ) জাতীয় কাউন্সিল সংগঠনের বাৎসরিক আয়-ব্যয়, হিসাব পরীক্ষা ও অনুমোদন করবে।

ঘ) সংগঠণের গঠণতন্ত্র, ঘোষণাপত্র ও কর্মসূচি অনুমোদন করবে।

ঙ) জাতীয় কাউন্সিল সভা একটি নির্বাচনী কমিটি গঠণ করবে যা চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ একটি পরিপূর্ণ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্বাচন কাজ পরিচালনা ও সমাপ্ত করবে।

চ) জাতীয় নির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে একমাস পূর্বে চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে মহাসচিব নোটিশ মারফত জাতীয় কাউন্সিলের কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

ছ) গঠণতন্ত্রের প্রয়োজনীয় সংশোধনী ও সংস্কার প্রস্তাব বিবেচনা ও অনুমোদন করবে।

ধারা- ১৯: ন্যাশনাল লেবার পার্টির জাতীয় কাউন্সিলের কোরাম

জাতীয় কাউন্সিলের সর্বমোট সদস্য সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে অধিবেশনের কোরাম হবে। মুলতবি সভার জন্য কোরাম প্রয়োজন হবে না।

ধারা- ২০: ন্যাশনাল লেবার পার্টির জাতীয় কাউন্সিলের ডেলিগেট

জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে কাউন্সিলরের দ্বিগুন সংখ্যক ডেলিগেট যোগদান করতে পারবেন। উম ডেলিগেট ১০০ (একশত) টাকা চাঁদা প্রদান করে অধিবেশনে প্রবেশাধিকার পাবেন এবং আলোচনায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু নির্বাচনী অধিবেশনে ভোট দিতে পারবেন না বা থাকতে পারবেন না।

ধারা- ২১: ন্যাশনাল লেবার পার্টির রিকুইজিশন সভা

ন্যাশনাল লেবার পার্টির কাউন্সিল সভা অনির্দিষ্টকালের জন্য অনুষ্ঠিত না হলে এক-তৃতীয়াংশ কাউন্সিলরের স্বাক্ষর ও আলোচ্য বিষয় সংবলিত রিকুইজিশন পত্র মহাসচিব ও চেয়ারম্যানের নিকট দাখিল করবার ৩০ দিনের মধ্যে মহাসচিব কাউন্সিল সভা আহবান করতে বাধ্য থাকবেন। কোন কারণে মহাসচিব উক্ত সময়ের মধ্যে কাউন্সিল সভা আহ্বান করতে ব্যর্থ হইলে চেয়ারম্যান সভা আহ্বান করবেন।

ধারা- ২২: জাতীয় নির্বাহী কমিটির কার্যাবলী ও ক্ষমতা

ক) জাতীয় নির্বাহী কমিটি সংগঠনের যাবতীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।

খ) ন্যাশনাল লেবার পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিসমূহের কর্তব্য ও দায়িত্বের নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনা, সমন্বয় সাধন, ওদারক ও তাদের সাহায্য করবেন।

গ) জেলা/মহানগর ও কেন্দ্রীয় কমিটি ও অন্য যে কোন সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ঘ) বিধি মোতাবেক কমিটিসমূহের অন্তর্দ্বন্ধ মিটাবে।

ঙ) লেবার পার্টির সহযোগী সংগঠন সমূহের কার্যকলাপের তদারক, নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় সাধন করবে।

ধারা- ২৩: ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান-এর দায়িত্ব ও ক্ষমতা

ক) ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান পার্টির সর্বপ্রধান হিসাবে গণ্য হবেন তিনি লেবার পার্টির ঐক্য, সংহতি ও মর্যাদার প্রতীক।

খ) ন্যাশনাল লেবার পার্টির প্রধান নির্বাহী হিসাবে চেয়ারম্যান পার্টির নির্বাহী পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন, পার্টির সকল কার্যবলী নিয়ন্ত্রণ, তদারক ও সমন্বয় সাধন করবেন এবং এই উদ্দেশ্যে জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিশেষ কমিটিসমূহ, পার্লামেন্টারি বোর্ড, পার্লামেন্টারি পার্টি ও চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত অন্যান্য কমিটিসমূহের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ, তদারক ও সমন্বয় সাধন করবেন।

গ) প্রয়োজনবোধে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে চেয়ারম্যান উপরোক্ত কমিটিসমূহের সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও বহিষ্কার করতে পারবেন।

ঘ) চেয়ারম্যান প্রয়োজন মনে করলে জাতীয় নির্বাহী কমিটি এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত অন্যান্য কমিটি সমূহের কাজ সাময়িকভাবে মূলতবি রাখার কিংবা প্রয়োজনবোধে বাতিল করিয়া পুনঃনির্বাচন নির্দেশ দিতে পারবেন।

ঙ) চেয়ারম্যান জাতীয় কাউন্সিল এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তবে এই ক্ষমতা প্রয়োজনবোধে তিনি নির্বাহী চেয়ারম্যান বা অন্য কোনো সদস্যের ওপর অর্পণ করতে পারবেন।

চ) চেয়ারম্যান নিজ ক্ষমতাবলে প্রয়োজনমতো উপদেষ্টা নিয়োগ করে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করতে পারবেন। উপদেষ্টাগণ ভাইস চেয়ারম্যানের পদমর্যদা ভোগ করবেন। উপদেষ্টাদের মতামত সুপারিশ হিসেবে বিবেচিত হবে। সিদ্ধান্তের প্রশ্নে ভোটাভোটির ক্ষেত্রে উপদেষ্টানের কোন ভোটাধিকার থাকবে না।

ছ) চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে একজন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করবেন।

ধারা- ২৪: মহাসচিব এর দায়িত্ব ও ক্ষমতা

(ক) মহাসচিব ন্যাশনাল লেবার পার্টির প্রধান কার্যকারক হিসাবে কর্ম সম্পাদন করবেন।

খ) মহাসচিব চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাহী কমিটি এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান ও আলোচ্য বিষয় নির্ধারণ করবেন।

গ) তিনি সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের দয়িত্ব ও কর্তব্য কটন, কার্যাবলীর তদারক, সমন্বয় সাধন ও তাদের কার্যবলী সম্পাদন করার জন্য প্রয়োজনীয় উপদেশ ও নির্দেশ প্রদান করবেন।

ঘ) মহাসচিব কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় প্রয়োজনীয় প্রতিবেদন পেশ করবেন।

ঙ) তিনি জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে পার্টির বাৎসরিক কর্মকাণ্ডের রিপোর্ট পেশ করবেন।

চ) চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে তিনি জাতীয় কাউন্সিল ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভার কাজ পরিচালনা করবেন।

জ) নিবন্ধন শর্তাদি পরিপালন সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে অবহিতকরণের দায়িত্ব পালন করবেন।

ঝ) রেজিস্টার্ড চার্টার্ড আকাউন্ট্যান্ট কর্তৃক নিরীক্ষিত পার্টির আয়-ব্যয়ের হিসাব সময়মতো নির্বাচন কমিশনে দাখিল করবেন।

ঞ) মহাসচিব দীর্ঘ সময় বিদেশে অবস্থান, দীর্ঘ অসুস্থতা কিংবা তিনি পদত্যাগ করিলে অথবা অন্য কোনভাবে মহাসচিবের পদ শূন্য হলে তনস্থলে যুগ্ম মহাসচিবের মধ্যে ক্রমানুসারে যিনি জ্যেষ্ঠতার প্রথমে থাকবেন তিনি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

ধারা- ২৫: যুগ্ম-মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অন্যান্য বিভাগীয় সম্পাদকগণের ক্ষমতা ও দায়িত্ব

ক) যুগ্ম-মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অন্যান্য সম্পাদকগণ তাহাদের স্ব স্ব বিভাগের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবেন। নিজ নিজ বিভাগের কার্যক্রম ও অগ্রগতি সম্পর্কে সম্পাদকগুলির মাসিক সভায় মহাসচিবের নিকট পেশ করবেন।

খ) দেশের বিভিন্ন বিভাগের ও বিভিন্ন বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকগণ স্ব স্ব বিভাগের নির্বাচনী অঞ্চলভিত্তিক এলাকা ও উপজেলা সমূহের নিয়মিত কার্যক্রম তদারক করবেন।

ধারা- ২৬: কোষাধ্যক্ষ দায়িত্ব ও ক্ষমতা

ক) তিনি সংগঠনের তহবিল সংরক্ষণ ও হিসাব রক্ষণ করবেন।

খ) তিনি সংগঠনের তহবিল চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংকে জমা রাখবেন।

গ) চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের নির্দেশ মোতাবেক তিনি সংগঠনের তহবিল থেকে রশিদের বিনিময়ে অর্থ প্রদান করবেন।

ঘ) তিনি মহাসচিবের পরামর্শে ন্যাশনাল লেবার পার্টির বাৎসরিক বাজেট প্রণয়ন করবেন।

ঙ) তিনি অর্থনৈতিক বিষয়সমূহ দলের নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন।

ধারা- ২৭: জেলা থেকে নিম্ন পর্যায়ে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য

ক) সভাপতি নিজ নিজ কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রধান কর্মকর্তা হিসাবে গণ্য হবেন এবং সভার সভাপতিত্ব করবেন।

খ) সভাপতি সংগঠনের কার্যাবলী পরিচালনা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদককে প্রয়োজনীয় উপদেশ, পরামর্শ ও নির্দেশ প্রদান করবেন।

গ) সভাপতি প্রয়োজনবোধে সহ-সভাপতিগণকে সংগঠনের যে কোন কাজের দায়িত্ব অর্পন করবেন।

ঘ) সহ-সভাপতিবৃন্দ সংগঠনের বিভিন্ন কার্য পরিচালনার সভাপতিকে সাহায্য করবেন।

ঙ) সভাপতির অনুপস্থিতে সহ-সভাপতিবৃন্দ সংগঠনের বিভিন্ন কার্য পরিচালনায় ক্রমানুসারে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

চ) সাধারণ সম্পাদক নিজ নিজ নির্বাহী পরিষদের দ্বিতীয় নির্বাহী প্রধান কর্মকর্তা হিসাবে গণ্য হবেন।

ছ) সভাপতির পরামর্শক্রমে সাধারণ সম্পাদক নির্বাহী পরিষদের সভা আহবান, তারিখ সময়, আলোচ্যসূচি নির্ধারণ ও সভার কাজ পরিচালনা করবেন।

জ) সাধারণ সম্পাদক নির্বাহী পরিষদের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব নির্ধারণ ও তাদের কার্যাবলীর সমন্বয় সাধন করবেন।

ঝ) সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের প্রাথমিক সদস্যের তালিকা, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দলিলাদি সংরক্ষণ করবেন।

ঞ) সাধারণ সম্পাদক নির্বাহী পরিষদে সভা স্ব স্ব কাউন্সিল অধিবেশনের প্রয়োজনীয় প্রতিবেদন প্রণয়ন করবেন ও তাহা পেশ করবেন।

ট) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং সম্পাদকমন্ডলীর অন্যান্য সদস্যবৃন্দ সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করবেন। তবে ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদকগণ স্ব স্ব বিভাগের কর্মসুচী প্রণয়ন করবেন এবং সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদন গ্রহণ করবেন।

ঠ) সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে ক্রমানুসারে একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

ড) অর্থ সম্পাদক স্ব স্ব শাখা কমিটির তহবিল সংরক্ষণ করবেন এবং সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশ মোতাবেক সংগঠনের তহবিল থেকে রশিদের বিনিময়ে অর্থ প্রদান ও গ্রহণ করবেন।

ঢ) অধীনস্থ কমিটিসমুহ অনুমোদনের ক্ষেত্রে সাধারণ সম্পাদকের সুপারিশ ক্রমে সভাপতি অনুমোদন করবেন।

ধারা- ২৮: পার্লামেন্টারি বোর্ড গঠন ও ক্ষমতা

ক) জাতীয় সংসদের নির্বাচনের জন্য ন্যাশনাল লেবার পার্টির পক্ষ থেকে প্রার্থী মনোনীত করার জন্য একটি পার্লামেন্টারি বোর্ড গঠিত হবে।

খ) চেয়ারম্যানসহ ৭ সদস্য সমন্বয়ে দলের পার্লামেন্টারি বোর্ড গঠন করবেন। ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব পদাধিকার বলে এই বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সদস্য সচিব থাকিবেন।

গ) পার্লামেন্টারি বোর্ড স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নির্বাচনের দলীয় প্রার্থী মনোনীত করবে।

ঘ) জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচনের জন্য ন্যাশনাল লেবার পার্টির প্রার্থী। মনোনয়নের দায়িত্ব পার্লামেন্টারি বোর্ড পালন করবে। পার্লামেন্টারি বোর্ড মনোনয়নের বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়ের সুপারিশও বিবেচনা করবে। তবে সুপারিশের ব্যতিরেকেও মনোনয়ন দেওয়ার এখতিয়ার পার্লামেন্টারি বোর্ডের থাকবে।

ঙ) কোন প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করিতে পার্লামেন্টারি বোর্ড ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে ভোটের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি সদস্যের সমর্থনপুষ্টপ্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।

চ) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করার সময় নূন্যতম ১০% মহিলা প্রার্থী মনোনয়নের প্রচেষ্টা থাকতে হবে।

ছ) পার্লামেন্টারি বোর্ড জাতীয় সংসদের একটি মেয়াদকালীন সময়ের জন্য গঠিত হবে।

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

ধারা- ২৯: ন্যাশনাল লেবার পার্টির পার্লামেন্টারি পার্টি গঠন ও ক্ষমতা

ক) জাতীয় সংসদে ন্যাশনাল লেবার পার্টির সংসদ সদস্যবৃন্দের সমন্বয়ে পার্লামেন্টারি পার্টি গঠিত হবে।

খ) ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান পার্লামেন্টারি পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ট সদস্যবৃন্দের আস্থাভাজন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে এই পার্টির নেতা, উপনেতা, চীপহুইপ এবং হুইপবৃদ্ধ নির্বাচিত করবেন।

গ) সংসদীয় পার্টিভুক্ত প্রত্যেক সদস্য উক্ত ন্যাশনাল লেবার পার্টির সিদ্ধান্ত মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন।

উক্ত পার্টির সংখ্যাগরিষ্ট সদস্যদের সিদ্ধান্তই ন্যাশনাল লেবার পার্টি সিদ্ধান্ত, পার্টির লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, আদর্শ ও পার্টির স্বার্থের পরিপন্থী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে না।

ধারা- ৩০: ন্যাশনাল লেবার পার্টির বিভিন্ন স্তরের কাউন্সিল ও নির্বাচন

জাতীয় নির্বাহী কমিটি ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হবে। ন্যাশনাল লেবার পার্টির অন্যান্যস্তরের নির্বাহী কমিটি ২ বছর মেয়াদী হবে।

ধারা- ৩১: ন্যাশনাল লেবার পার্টির নির্বাচন পরিচালনা কমিটি

ন্যাশনাল লেবার পার্টির সর্বস্তরের কাউন্সিল সভায় নির্বাচন পরিচালনার জন্য একজন চেয়ারম্যান ও ৪ জন সদস্যের সমন্বয়ে একটি করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ন্যাশনাল লেবার পার্টির প্রত্যেক স্তরে স্ব-স্ব কাউন্সিল সভা কর্তৃক নির্বাচিত হবে।

ধারা- ৩২: ন্যাশনাল লেবার পার্টির নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল

ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাহী কমিটিসহ সকল ধরনের কমিটির নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিরোধ, ন্যাশনাল লেবার পার্টির নির্বাচন ও কমিটি গঠণ নিয়ে মতপার্থক্য, মতবিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ৫ সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করবেন। তবে কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠানের ২১ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে বাধ্য থাকবে। ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জাতীয়

নির্বাহী কমিটিতে আপিল করা যাবে। নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তই এই ব্যপারে চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হবে।

ধারা- ৩৩: ন্যাশনাল লেবার পার্টির সভা, নোটিশ ও কোরাম

ক) নির্বাচনী অঞ্চল হতে নিম্নতম স্তর পর্যন্ত দু’মাসে কমপক্ষে একবার নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।

খ) এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সভায় কোরাম হবে। তবে জরুরি সভার ক্ষেত্রে এক-পঞ্চমাংশ সদস্যের উপস্থিতিতেও কোরাম হবে।

গ) সাধারণ সভার জন্য ৭ দিনের, জরুরি সভার জন্য ২৪ ঘন্টার নোটিশ দিতে হবে।

ঘ) সাধারণ সম্পাদক সভার নোটিশ প্রদান করবেন। প্রয়োজনবোধে সভাপতি জরুরি সভা আহ্বান করতে পারবেন।

ধারা-৩৪: ন্যাশনাল লেবার পার্টির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা

ক) তিন মাসে কমপক্ষে একবার সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ঘ) সাধারণ সভার জন্য এক-তৃতীয়াংশ, জরুরি সভার জন্য এক-চতুর্থাংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম হবে।

গ) সাধারণ সভার জন্য ৭দিন, জরুরি সভার জন্য ২৪ ঘন্টার নোটিশ দিতে হবে।

ধারা- ৩৫: ন্যাশনাল লেবার পার্টির শৃঙ্খলা বিষয়ক নীতিমালা

ক) কোন সদস্য ন্যাশনাল লেবার পার্টির গঠণতন্ত্র, কর্মসূচি, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বা সংগঠনের স্বার্থ, শৃংখলা বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হলে বা অংশ গ্রহণ করলে এবং পরিষদের কাউন্সিল, নির্বাহী কমিটি, সংসদীয় বোর্ড বা সংসদীয় পার্টির বিরুদ্ধে কোন কাজ করলে শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাহী কমিটির সাথে আলাপ আলোচনার প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে যে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

খ) জেলা পর্যায়ের অধস্তন কমিটিসমূহের কর্মকর্তা অথবা যে কোনো সদস্যের শৃংখলাজনিত বিষয়গুলো জেলা কমিটি নিস্পত্তি করবে।

গ) কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে প্রাপ্তির পরে সেই স্তরেই অভিযোগটি যাচাই করার পর সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি নির্বাহী কমিটির সভায় পেশ করবেন। অভিযোগটি যদি নিষ্পত্তিযোগ্য হয় তা হলে প্রথম সভাতেই তা করি পাবেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে রেহাই দেবেন।

ঘ) অভিযোগের গুরুত্ব অনুধাবন করিয়া যদি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে রেহাই দেয়া না হয় তখন উক্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ১৫ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থন করে উপযুক্ত কারণ দর্শানোর সুযোগদানের জন্য সাধারণ সম্পাদক রেজি ডাক যোগে নোটিশ নেবেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি উক্ত সময়ের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থন করে কোন বক্তব্য প্রদান না করলে সাধারণ সম্পাদক জেলা কমিটিতে প্রেরণ করবেন। জেলা কমিটি তাহাদের কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করত সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করবেন।

ঙ) অভিযুক্ত ব্যক্তি অভিযোগের বিষয়ে কোনো জবাব দিলে সাধারণ সম্পাদক জেলা কমিটির এক বা একাধিক কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে তদন্ত সম্পন্ন করার জন্য জেলা নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদকের নিকট প্রেরণ করবেন। জেলা নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করত স্বীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সভায় বিষয়টি উত্থাপন করে সিদ্ধান্ত স্থির করবেন ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করবেন।

চ) জেলা কমিটি এবং তার উপরস্থ কমিটির সকল কর্মকর্তা ও সদস্যের শৃংখলাবিষয়ক অভিযোগসমুহ জাতীয় নির্বাহী কমিটি নিষ্পত্তি করবে।

ছ) কোন সদস্যের বিরুদ্ধে গৃহীত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের এক মাসের মধ্যে শাস্তি মওকুফের জন্য চেয়ারম্যানের নিকট আপিল করতে পারবেন। চেয়ারম্যান সিন্ধান্ত গ্রহণ করবেন ও সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

ধারা- ৩৬: ন্যাশনাল লেবার পার্টির তহবিল ও তহবিলের উৎস

ক) প্রাথমিক সদস্যপদ লাভের চাঁদা।

খ) সাধারণ সদস্যদের বাৎসরিক সদস্যপদ নবায়ন চানা।

গ) সংগঠনের সকল স্তরের আদায়কৃত চাঁদা।

ঘ) ন্যাশনাল লেবার পার্টির প্রকাশিত পত্র-পত্রিকা, বই ইত্যাদি দলিল।

ঙ) সংগঠনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে আয়।

চ) সদস্যদের মাসিক চাঁদা।

ছ) সংগঠন সমর্থকদের এককালীন ইচ্ছাকৃত দান।

জ) বিশেষ তহবিলের জন্য জনসাধারণ বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দান হিসাবে সংগৃহীত অর্থ। (এখানে উল্লেখ্য, যে কোন ব্যক্তি, কোম্পানি,

একাধিক কোম্পানি গ্রুপ কিংবা বেসরকারি সংস্থা হইতে চাঁদা দান অথবা অনুদান গ্রহণ করা হবে।)

ধারা- ৩৭: ন্যাশনাল লেবার পার্টির তহবিল সংগ্রহের পদ্ধতি

ক) সংগঠনের প্রতিটি স্তরের চাঁদা, এককালীন অর্থ অবশ্যই ক্রমিক সংখ্যাযুক্ত ছাপানো রশিদের বিনিময়ে গ্রহণ করতে হবে।

খ) প্রতিটি রশিদ ও মুড়িতে মহাসচিব ও কোষাধ্যক্ষের স্বাক্ষর-সীলমোহর থাকতে হবে।

ধারা- ৩৮: তহবিল সংরক্ষণ ও ব্যাংকিং হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি

ক) ন্যাশনাল লেবার পার্টির শিরোনামে যে কোন তফসিলি ব্যাংকে হিসাব থাকবে। ন্যাশনাল লেবার পার্টির নামে আদায়কৃত অর্থ সংগঠনের নামে ব্যাংকে জমা হবে এবং সংগঠনের হিসাবের খাতায় লিপিবদ্ধ থাকবে।

খ) চেয়ারম্যান, মহাসচিব এবং কোষাধ্যক্ষ এই তিনজনের মধ্যে চেয়ারম্যানসহ যে কোন দুইজনের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হবে। ন্যাশনাল লেবার পার্টির ব্যাংক হিসাব হতে টাকা উত্তোলন করা যাবে।

গ) প্রতি বছর ন্যাশনাল লেবার পার্টির আয়-ব্যয়ের হিসাব করা হবে। রেজিষ্টার্ড চার্টাড অ্যাকাউন্ট্যান্ট কর্তৃক পরিষদের পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বৎসরের নিরীক্ষত হিসাব পরবর্তী বৎসরের ৩১ জুলাই-এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হবে।

ধারা- ৩৯: চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

স্বাস্থ্যগত বা ব্যক্তিগত যে কোন কারণে ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান তাহার মেয়াদকালীন সময়ে পদত্যাগ করতে চাইলে তিনি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করবেন এবং সেই মর্মে তাহার পদত্যাগপত্র পেশ করবেন। জাতীয় নির্বাহী কমিটি পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে পরবর্তী কাউন্সিল অধিবেশন পর্যন্ত কার্য সম্পাদনের জন্য ভাইস চেয়ারম্যানদের ক্রম হিসাবে একজন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত করিবেন।

ধারা- ৪০: চেয়ারম্যানের অপসারণ

কোন কারনে চেয়ারম্যানের অপসারণ প্রয়োজন দেখা দিলে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

ক) জাতীয় নির্বাহী কমিটি জাতীয় কাউন্সিলের বিশেষ অধিবেশন আহবান

করবেন।

খ) উক্ত জাতীয় কাউন্সিলের বিশেষ অধিবেশনের একমাত্র বিষয়বস্তু হতে হবে চেয়ারম্যানের অপসারণ সম্পর্কিত দাবি।

গ) চেয়ারম্যানের অপসারণ সম্পর্কিত নথিতে অপসারণের ব্যাখ্যার কারণ সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত থাকতে হবে।

ঘ) জাতীয় কাউন্সিলের মোট সদস্য সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের ভোট যদি দাবির পক্ষে হয়, তাহা হলে চেয়ারম্যান অপসারিত হবেন।

ঙ) চেয়ারম্যান অপসারিত হলে পরবর্তী কাউন্সিল অধিবেশন পর্যন্ত কার্যক্রমের জন্য নির্বাহী কমিটির সভায় ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্য থেকে ক্রমানুসারে একজনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হবে।

ধারা- ৪১: গঠনতন্ত্রের ব্যাখা, সংশোধনী, সংযোজন-পরিমার্জন

ক) এই গঠণতন্ত্রের যেকোন ব্যাখা সম্পর্কে কোনো বিতর্ক উত্থাপিত হইলে লেবার পার্টির নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসাবে গণ্য হবে।

খ) গঠণতন্ত্রের অনুল্লোখিত বিষয়ের ব্যাখ্যা নির্বাহী কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান প্রদান করবেন।

গ) গঠণতন্ত্রের সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন বা নতুন বিধি-উপবিধি প্রণয়ন করিতে হইলে সেই জন্য চেয়ারম্যান একটি ৩ সদস্যের গঠণতন্ত্র উপ-কমিটি গঠন করবেন। উপকমিটি গঠণতন্ত্রের সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন বা নতুন বিধি-উপবিধির ব্যাপারে যে সব প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন তা জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা কর্তৃক অনুমোদিত হবে। অনুমোদনের পর সংশোধনী বা সংশোধনীসমুহ জাতীয় কাউন্সিলে গঠণতন্ত্র উপকমিটির আহবায়ক উপস্থাপন করবেন। কাউন্সিলের সংখ্যাগরিষ্ট ভোটে পাস হইলে তাহা গঠণতন্ত্রে সংযোজন হইবে।

ঘ) গঠনতন্ত্রের কোন ধারা, উপ-ধারা সংশোধন সংযোজন একমাত্র জাতীয় কাউন্সিলের সংখ্যাগরিষ্ট সদস্যের ভোটের মাধ্যমে করিতে হইবে।