সাম্প্রতিক কার্যকলাপ

৩১ দফা একটি গতিশীল রাষ্ট্র গড়ার জন্য যথার্থ
—————————————————–
লায়ন মোঃ ফারুক রহমান
—————————————————–

আজ ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ইং রোজ- বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে বরগুনা -২ ( পাথরঘাটা – বামনা – বেতাগী) গণ মানুষের নেতা ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ ফারুক রহমান বলেছেন ৩১ দফা একটি গতিশীল রাষ্ট্র গড়ার জন্য যথার্থ। একটি রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যা দরকার তা ৩১ দফায় আছে,
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। এ দেশের মানুষের দীর্ঘ লড়াই আর সীমাহীন ত্যাগ ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাস্ত করেছে। জনরোষ থেকে বাঁচতে ভারতে পালিয়ে গেছেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে তাঁর সরকারের মতো এমন পলায়ন বিরল। আওয়ামী লীগের এই পলায়ন তাদের কৃতকর্মকে জনতার সামনে অত্যন্ত খোলামেলাভাবে উপস্থাপন করেছে। দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রমাণ করেছে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর চালানো নির্যাতন-নিপীড়নের বিষয়টি।

অবৈধ উপায়ে ক্ষমতার মসনদ দখল করে রাখা হাসিনা সরকার চেয়েছিল এ দেশ থেকে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে। কিন্তু পারেনি। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র, শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে মাঠের সাধারণ কর্মী হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা, প্রেম ও ত্যাগের সবটুকু দিয়ে আগলে রেখেছে তাদের প্রাণপ্রিয় দলকে। বিএনপির যাত্রা শুরু হয়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর, একটি পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। সেনা ব্যারাকে সৃষ্টি হলেও দলটি শুরু থেকেই ছিল হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার ভূমিকায়। এখানে সব দল-মত, ধর্ম-বর্ণ, শ্রেণি-পেশার মানুষের সন্নিবেশ ঘটেছিল খুব অল্প সময়েই। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলটি সীমাহীন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে একটি সুদীর্ঘ সময় অতিক্রম করেছে। আজ ১ সেপ্টেম্বর, দলটির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

বিএনপির জন্ম সেনাছাউনিতে, একজন সেনানায়কের হাতে, যখন তিনি ছিলেন ক্ষমতার কেন্দ্রে। এ ধরনের রাজনৈতিক দল ক্ষমতার বৃত্ত থেকে ছিটকে পড়লে সাধারণত হারিয়ে যায়। বিএনপি এদিক থেকে ব্যতিক্রম। দলটি শুধু টিকেই যায়নি, ভোটের রাজনীতিতে বিকল্প শক্তি হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। দেশে গণতন্ত্র আছে কিনা, বিএনপিতেও গণতন্ত্রের চর্চা হয় কিনা– তা নিয়ে চায়ের পেয়ালায় ঝড় তোলা যায়। কিন্তু দলটি দেশের জনগোষ্ঠীর বড় একটা অংশের প্রতিনিধিত্ব করে, এটা অস্বীকার করার জো নেই।’

১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক পথপরিক্রমায় শৈশব-কৈশোর অতিবাহিত করে ১৯৫৩ সালে সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। ১৯৫৫ সালে তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। সামরিক বাহিনীতে তাঁর ভূমিকা সব সময়ই ছিল বীরোচিত। যা তাঁকে তাঁর পেশাগত পরিমণ্ডলে শ্রেষ্ঠতর মর্যাদায় ভূষিত করে। সাহসী রণকৌশল ও অসীম বীরত্বের প্রমাণস্বরূপ হিলাল-ই-জুরাত এবং তামঘা-ই-জুরাত পদকও লাভ করেন তিনি। ১৯৭০ সালে মেজর হিসেবে তিনি চট্টগ্রামে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড ইন-কমান্ডের দায়িত্ব পালন এবং পরে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে নেতৃত্ব দেন ।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শ্রেষ্ঠত্বের ভূমিকার বিষয়টি সর্বজন এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। স্বাধীনতার ঘোষণা, সেক্টর কমান্ডার হিসেবে সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ, দিশেহারা জাতিকে সঠিক পথ দেখানো এবং সশস্ত্র নেতৃত্বের কারণে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণস্বরূপ মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ খেতাব বীরউত্তমে ভূষিত হয়েছেন। পেশাগত জীবনে তিনি নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠত্বের ছাপ রেখে গেছেন ।

১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে জাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। পরে ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ৯ দিনের মাথায় একটি ভঙ্গুর রাষ্ট্রের সংস্কারের উদ্দেশ্যে ১৯ দফা ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো, জনগণ, আইনের শাসন, পররাষ্ট্রনীতি, কূটনীতি, ধর্মব্যবস্থা, মূল্যবোধ, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, অর্থনীতি সব কিছুর সমন্বয়ে একটি আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার উন্নত মডেল তত্ত্ব।

১৯ দফা ছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেওয়া রাষ্ট্রের মুক্তির দিকনির্দেশনা। এক কথায় বলা যেতে পারে সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্র গঠনে মনোযোগ ফিরিয়ে আনেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই ১৯ দফা প্রণয়নের মাধ্যমে। তিনি ১৯ দফাতে যেমন শাসনতন্ত্রের মূলনীতি গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছেন, ঠিক তেমনি সমাজতন্ত্রের ভালো যে দিক– সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের কথাও বলেছেন। তিনি সমাজব্যবস্থার সব উত্তম দিকের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন, অখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রের স্বপ্নের বাস্তবিক প্রয়োগ দেখিয়েছেন। এই ১৯ দফায় রাষ্ট্রকে তিনি যেমন সমসাময়িক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে প্রাধান্য দিয়েছেন, ঠিক তেমনি ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের রাষ্ট্রের পথ দেখিয়েছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তাঁর ওই তত্ত্বে আত্মনির্ভরশীল জাতি গঠনের জন্য নিরক্ষতামুক্ত শিক্ষিত জাতির কথা বলেছেন। একটি দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার যাবতীয় উপকরণ ছিল তাঁর সেই ১৯ দফায়।

বাংলাদেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, বিশ্বে দ্রুত অগ্রসরমান দেশ হিসেবে যখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই দেশি-বিদেশি চক্রান্তের অংশ হিসেবে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের নির্মম বুলেটে প্রাণ হারান বাংলাদেশের ইতিহাসের ক্ষণজন্মা এই রাষ্ট্রনায়ক ।

নাগরিক সমাবেশে কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জনাব শামসুজ্জামান দুদু, পিরোজপুর জেলা বিএনপির নেতা জনাব আলমগীর হোসেন, ন্যাশনাল লেবার পার্টির দলীয় মুখপাত্র মোঃ শরিফুল ইসলাম, মহানগর সভাপতি মাইদুল ইসলাম আসাদ, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের নেতা সোয়েব আহমেদ, মৎসজীবি দলের নেতা সূজন শখী প্রমুখ।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পথ ধরেই তিনি রাজনীতি করেছেন
———————————————-
লায়ন মোঃ ফারুক রহমান
———————————————

আজ রোববার (১৪ অক্টোবর) ২০২৫ ইং,ভাষা সৈনিক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. আফসার আহমেদ সিদ্দিকী। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন এই সদস্য ২০০১ সালের এই দিন ঘাতকব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।

বর্ণাঢ্য এই রাজনীতিকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাব জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত আলোচনা সভায় বরগুনা -২ আসন ( পাথরঘাটা – বামনা- বেতাগী) গন মানুষের নেতা, ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ ফারুক রহমান বলেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পথ ধরেই তিনি রাজনীতি করেছেন তার আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি।

আফসার আহমেদ সিদ্দিকী ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় গ্রেফতার হয়ে দুই বছর কারাবরণ করেন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বিলুপ্ত যশোর-৮ এবং বর্তমান মনিরামপুর-৫ আসন থেকে দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ১৯৭৩ সালে তিনি যশোর পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন । তিনি ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী।

১৯৭৮ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আফসার আহমেদ সিদ্দিকী বিএনপিতে যোগ দেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তাকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে যশোর জেলা উন্নয়ন সমন্বয়কারী (ডিডিসি) নিযুক্ত করেন।

পরবর্তীতে তিনি দলটির দফতর, কৃষি বিষয়ক ও ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সাত দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালনসহ মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি দলটির যুগ্ম-মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আফসার আহমেদ সিদ্দিকী ২০০১ সালের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তিকাল করেন।

উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন।
উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল লেবার পার্টির দলীয় মুখপাত্র মোঃ শরিফুল ইসলাম, বরগুনা জেলা ন্যাশনাল লেবার পার্টির নেতা আবু সালেহ।

বিটিভি থেকে আওয়ামী দোসরদের অপসারণ করতে হবে।
—————————————————-
দলীয় মুখপাত্র
ন্যাশনাল লেবার পার্টি

আজ ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ইং,রোজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত সংগঠনের সভাপতি মোঃ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ ফারুক রহমানের দলীয় মুখপাত্র মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেছেন বিটিভি থেকে আওয়ামী দোসরদের অপসারণ করতে হবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আশা করা হয়েছিল, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে ‘বাপ-বেটি’র বাক্স এবং হিটলারের গোয়েবলসকেও হার মানানো প্রচার মাধ্যমে পরিণত হওয়া একমাত্র রাষ্ট্রীয় টেরিস্টারিয়াল ও স্যাটেলাইট চ্যানেল বিটিভির বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে থাকা ফ্যাসিস্ট দোসর ও দুর্নীতিবাজদের অপসারণ করা হবে। চ্যানেলটিকে সংস্কার করে ফ্যাসিস্টমুক্ত করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের ১৫ মাস পার হয়ে গেলেও এর কোনো সংস্কার হয়নি। শেখ হাসিনার গুণর্কীতনকারী ও দোসররা বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে। এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এন্তার দুর্নীতি এবং শেখ হাসিনার চাটুকারিতার ব্যাপক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা রয়ে গেছেন। সুযোগ বুঝে এখন তারা বিএনপি-জামাতের সমর্থক হয়েছেন। বিটিভির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বিভাগ, যেটি ‘গোয়েবলস’কেও হার মানিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার প্রচার বিভাগে পরিণত হয়েছিল এবং যারা এ কাজ করতেন, তারা স্ব স্ব পদে অটুট রয়ে গেছেন। এদের মধ্যে অন্যতম বার্তা ও অনুষ্ঠান বিভাগের উপমহাপরিচালক ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ, বার্তা বিভাগের পরিচালক ও প্রধান বার্তা সম্পাদক মুন্সী ফরিদুজ্জামান এবং বার্তা সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ বিটিভিতে অন্যতম প্রভাবশালী ও আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। বিটিভির একাধিক সূত্র জানায়, তার ক্ষমতার উৎস ছিল, তার ভাসুর হিসেবে পরিচিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সুচিব মো. মহসিন। তাদের শক্তিবলে তিনি বিটিভির সর্বত্র ছড়ি ঘোরাতেন। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিটিভিতে তিনটি পদোন্নতি নিয়েছেন। তিনি অর্থ বিভাগ, উপ-মহাপরিচালক বার্তা ও অনুষ্ঠান বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। নিয়োগবিধি লঙ্ঘন করে তার মূলপদ উপ-মহাপরিচালক (বার্তা, গ্রেড-৩) থেকে বিটিভির মহাপরিচালক (গ্রেড-১) পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। তার পদগুলোতে কাউকে পোস্টিং দেয়া হলেও তিনি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সেগুলো বন্ধ করে দিতেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হিসেবে তিনি সরকারি খরচে ২১ বার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন, যা বিটিভির ইতিহাসে রেকর্ড হয়ে আছে। শুধু তাই নয়, বিটিভির সূত্রগুলো জানায়, বিটিভিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিল্পী তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতির সাথে ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ জড়িত রয়েছেন। 

বিটিভিতে শিল্পী, নাট্যকার, গীতিকার, পান্ডুলিপি রচয়িতা ও কলাকুশলী তালিকাভুক্তি এবং গ্রেডেশন সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী যে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল, নীতিমালা লঙ্ঘন করে তিনি সেই কমিটির আহ্বায়ক হয়েছিলেন। 

নীতিমালার ৫ নম্বর ধারার খ-তে বলা আছে, উপ-মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান)/ পরিচালক (অনুষ্ঠান)/ জেনারেল ম্যানেজার অডিশন বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। সর্বশেষ যে অডিশন বোর্ড গঠন করা হয় সে সময় ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ অনুষ্ঠান বিভাগের উপ-মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও সে জায়গায় একজন যুগ্ম সচিবকে (জহিরুল ইসলাম) দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।

তবে ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ তা উপেক্ষা করে ক্ষমতাবলে নিজেই অডিশন বোর্ডের আহ্বায়ক বা সভাপতি থেকে যান। বিটিভির সূত্র জানায়, তিনি এ কাজ করেছেন দুর্নীতির অভিপ্রায়ে। ইতোমধ্যে যে ১৭৯১ জন শিল্পীকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগের কাছ থেকে গড়ে ৭০ হাজার টাকা করে উৎকোচ নেয়া হয়েছে এবং অনেকে উৎকোচ দিয়েও তালিকাভুক্ত হতে পারেননি। এই উৎকোচের পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে, এই দুর্নীতির সাথে ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদও জড়িত। তার সহযোগী হিসেবে রয়েছেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার (বিটিভি থেকে রাজশাহী উপকেন্দ্রে বদলিকৃত) মোহাম্মাদ মোল্লা আবু তৌহিদ। তাদের যোগসাজসে এই অডিশন কেলেংকারির ঘটনা ঘটে। জানা যায়, এই কেলেংকারির ঘটনার তদন্ত যাতে না হয় এজন্য ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ এখন নানা তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বিটিভিতে ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী ও সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিত। তিনি মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটিতে ছিলেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার তথাকথিত উন্নয়নকে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। শেখ হাসিনার সকল সংবাদ প্রচারের দায়িত্ব সার্বক্ষণিকভাবে পালন করেছেন। অন্যদিকে, বিএনপিসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোকে যতভাবে নিগৃহীত করা যায়, তার বানোয়াট তথ্য তুলে ধরেছেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের দোসর ও গুণকীর্তনকারি এই ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ এখন ভোল পাল্টে বিএনপি সমর্থক সেজে অবলীলায় রয়ে গেছেন। বিটিভির বার্তা বিভাগের পরিচালক ও প্রধান বার্তা সম্পাদক ফ্যাসিস্ট দোসর হিসেবে পরিচিত মুন্সী ফরিদুজ্জামানও এখন ভোল পাল্টে বিএনপি সেজে নির্বিঘেœ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই পদে তিনি প্রায় এক যুগ ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। এই দীর্ঘ সময় তিনি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার চাটুকারিতা ও উন্নয়ন প্রতিবেদন ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তুলে ধরেছেন। বিটিভির সূত্র জানায়, তিনি এসব প্রতিবেদন ধারন ও প্রচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলে অত্যন্ত চতুরতার সাথে বার্তা বিভাগে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কিছু প্রতিবেদককে চাকরিচ্যুত করে দেখাতে চেয়েছেন বার্তা বিভাগকে তিনি ফ্যাসিস্ট দোসরমুক্ত করেছেন। এগুলো আই ওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়। অথচ তিনি নিজেই ফ্যাসিস্টের বড় দোসর। তিনি নিজেকে ফ্যাসিস্টের দোসরমুক্ত করার জন্য এই চালাকি করেছেন। তাকে সহযোগিতা করছেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর বিটিভির চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার নুরুল আজম (পবন)। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, একদিকে বিটিভির পুরনো কিছু প্রতিবেদককে বাদ দেয়া হয়েছে, অন্যদিকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সমর্থক সাংবাদিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির অপকর্মের অন্যতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত শাহরিয়ার পলাশ নামে এক সাংবাদিককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিটিভির জিএম নুরুল আজমের সহযোগিতায় এ কাজ করছেন মুন্সী ফরিদুজ্জামান। বার্তা সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ রয়েছে। বিটিভির সূত্রগুলো জানায়, বিটিভিতে বিভিন্ন বিভাগে যেসব ফ্যাসিবাদী সিন্ডিকেট এখনও বহাল রয়েছে, তার মধ্যে বার্তা বিভাগের সিন্ডিকেটের মূল হোতা হিসেবে রয়েছেন, ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ, মুন্সী ফরিদুজ্জামান এবং মো. জাহিদুল ইসলাম। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, বিটিভির মতো রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যমে যদি এখনো ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর ও দুর্নীতিবাজরা বহাল থেকে যায় এবং তাদের অপসারণে উদ্যোগ না নেয় হয়, তাহলে সময় ও সুযোগ বুঝে তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপাকে ফেলে দেবে। তথ্য মন্ত্রণালয় ও বিটিভি কর্তৃপক্ষের উচিৎ, তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ যথাযথ তদন্ত করে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। শুধু তদন্ত কিংবা বিটিভির অন্যত্র বদলি করলেই হবে না, ফ্যাসিবাদের এই দোসরদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্হা নিতে হবে।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের নেতা সোয়েব আহমেদ, মৎসজীবি দলের নেতা সূজন শখী প্রমুখ।

আগামী দিনে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে মানবিক ও কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
———————————————-
ন্যাশনাল লেবার পার্টি
———————————————-

আজ ১১ অক্টোবর ২০২৫ ইং,রোজ শনিবার কালভার্ট রোডস্থ জামান টাওয়ার নিজস্ব কার্যালয়ে ন্যাশনাল ছাত্রমিশন কেন্দ্রীয় সংসদ কর্তৃক আয়োজিত “টেকসই জাতি গঠনে মানবিক ও কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই ” প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে

ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ ফারুক রহমানের দলীয় মুখপাত্র মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেছেন আগামী দিনে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে মানবিক ও কর্মমূখী শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

দেশের যে কোনো উন্নয়ন টেকসই করতে প্রয়োজন টেকসই শিক্ষাব্যবস্থা। কারণ, সব উন্নয়নের মূলে রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের জ্ঞান। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের জ্ঞান না থাকলে দেশটিকে অন্য দেশের জ্ঞানীদের কাছে ধরনা দিতে হবে। আমরা সবাই জানি, শিক্ষা হলো জাতির মেরুদণ্ড। সেই মেরুদণ্ড যদি দুর্বল হয়, তাহলে দেশ ও জাতি কখনো সবল হবে না।

আর সে দেশের উন্নয়নও টেকসই হবে না। সুতরাং উন্নয়ন টেকসই করতে টেকসই শিক্ষাব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করা যেতে পারে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বিদেশি শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। তারা তাদের শিক্ষা ও কর্মদক্ষতা অনুসারে বেতন পেয়ে থাকেন। পত্রিকায় প্রকাশ, কর্মরত শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২ লাখ টাকা!

এসব বিদেশি শ্রমিক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনেক যোগ্য ও দক্ষ। এসব শ্রমিক বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মী হিসাবে নিয়োজিত আছেন বছরের পর বছর। দেশের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র প্রভৃতি নানা মেগা প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া জনশক্তির অধিকাংশই বিদেশি। এসব প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পাওয়া বিশেষজ্ঞের অধিকাংশই বিদেশি। সূত্রে প্রকাশ, আমাদের দেশের প্রকৌশলীরা

এসব বিশেষজ্ঞের অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করেন! এ অবস্থায় প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আমরা কী প্রোডাক্ট পাচ্ছি? পাশাপাশি এটিও প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, আমাদের উন্নয়নের ভবিষ্যৎটাই বা কী? এ উন্নয়ন কতটুকুই বা টেকসই?

একথা সত্য, দেশে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। জিপিএ-৫ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৩৯টি। বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৭০টি। এসব মেডিকেল কলেজের শিক্ষার মান নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতালগুলোর সেবার মান মোটেই সন্তোষজনক নয়।

দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যারিয়ার অপশন হিসাবে বিসিএসকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। বিসিএসে ক্যাডার হওয়ার ধাপ আছে ২৮টি। অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ক্যাডার হতে প্রশাসন, পুলিশ, ফরেইন অ্যাফেয়ার্স প্রভৃতি পদকেই প্রধানত চয়েস দেয়।

চয়েস নির্বাচনে প্রায় সব প্রার্থীই ‘শিক্ষা ক্যাডার পদটি’কে সর্বশেষ চয়েস দিয়ে থাকে। তার মানে সবাই বড়লোক হতে ক্ষমতা ও টাকাওয়ালা পদটিকে বেছে নেয়। শিক্ষকতা পেশায় টাকা কিংবা ক্ষমতা কম বিধায় এ পদটিকে সবাই এড়িয়ে চলে। এটি একটি দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির প্রধান অন্তরায়।

শিক্ষাব্যবস্থার সামগ্রিক দৈন্যের কারণে আমাদের দেশের শিক্ষার মান দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। আন্তর্জাতিক এক মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশের শিক্ষার মান ২.৮ শতাংশ। বিপরীতে ভারত ও শ্রীলংকার শিক্ষার মান ২০.৮ শতাংশ। পাকিস্তানের শিক্ষার মান আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে। এ সমীক্ষা প্রমাণ করে যে, আমাদের দেশের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ।

যে কোনো দেশে শিক্ষার ভিত রচিত হয় প্রাইমারি থেকে। দেশে প্রাইমারি স্কুলের সংখ্যা ৬৬ হাজারের কাছাকাছি। এখানে চাকরিরত শিক্ষকের সংখ্যা ৪ লাখ। জাতি গড়ার ভিত্তিই হলো এ ৪ লাখ শিক্ষক। তারা প্রায় সারাটা দিন স্কুলে সময় দেন।

মাস শেষে তারা সর্বসাকুল্যে বেতন পান ১৭ হাজার টাকা। তারা প্রত্যেকে মাসিক টিফিন ভাতা পান মাত্র ২০০ টাকা! তার মানে তাদের প্রতিদিনের টিফিন ভাতা ৬ টাকা ৬৬ পয়সা! এসব শিক্ষকের মর্যাদা সচিবালয়ের একজন পিওনের মর্যাদার চেয়েও নিচে! এসব কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা ভালো রেজাল্টধারী একজন গ্র্যাজুয়েট এখানে চাকরি করতে চান না।

দেশে মাধ্যমিক স্তরের ৯৭ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই বেসরকারি। দেশে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৬ হাজার। এখানে কর্মরত শিক্ষক সংখ্যা ৫ লাখ। নিয়োগ পেয়ে এন্ট্রি লেভেলে তারা বেতন পান ১২ হাজার ৫০০ টাকা। তাদের মাসিক চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা। অথচ একজন ভালো ডাক্তারের একবারের ফি ১ হাজার টাকা। এসব শিক্ষক বাড়ি ভাড়া বাবদ পান মাত্র ১ হাজার টাকা;

যা দিয়ে বস্তিতে একটি কক্ষও ভাড়া পাওয়া যায় না। যুগ যুগ ধরে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত এ ভাতা শিক্ষকরা পেয়ে আসছেন। এখানে নেই টিফিন ফি, নেই পদোন্নতি, নেই বদলি। বর্তমান বাজারে এ সামান্য বেতনে তাদের ১০ দিনও চলে না। তারা পাঠদানে মনোযোগী হতে পারেন না। সংসারের ঘানি টানতে তারা বেছে নেন নানা পেশা। কেউবা টিউশন করেন। এরপর রয়েছে উচ্চমাধ্যমিক লেভেল।

এ পর্যায়ে কলেজগুলো এমপিওভুক্তির কঠিন বেড়াজালে বন্দি। এখানেও পদোন্নতি বা বদলি কোনোটিই নেই। একজন শিক্ষক ৩০ বছর ধরে প্রভাষকই রয়ে যান! প্রভাষক পদে যোগদান করে প্রভাষক হিসাবেই অবসরে যান!

এরপর আসা যাক উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রসঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয় হলো যে কোনো দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। এখানে প্রমোশন থাকলেও একাডেমিক মোটিভেশন নেই। গবেষণা থাকলেও আন্তর্জাতিক মান নেই।

এখানে নিয়োগের ক্ষেত্রেও রয়েছে নানান হিসাবনিকাশ। ফলে নিয়োগ পাওয়ার পর অনেকেই গবেষণায় বদলে অন্য বিষয়ে বেশি মনোযোগী হন। এসব কারণে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিছিয়ে থাকে।

আমাদের শিক্ষার্থীরা এমন শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে, তারা না শিখছে নৈতিক শিক্ষা, না শিখছে বিজ্ঞান শিক্ষা আর না শিখছে প্রযুক্তির শিক্ষা। এ শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেমিক হয়েও গড়ে উঠছে না।

অতি মেধাবীরা ঘটনাক্রমে শিক্ষকতা পেশায় এলেও অনেক ক্ষেত্রে তাদের ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, এ পেশায় যেহেতু আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা নেই, তাই এখানে তাদের আকর্ষণও নেই। আবহমানকাল থেকেই দেখে আসছি, আমাদের দেশের শিক্ষকদের আর্থসামাজিক অবস্থা খুবই নিুমানের! বর্তমানে যারা এ পেশায় নিয়োজিত আছেন, তারা সামাজিকভাবে যেন কিছুটা উপেক্ষিত।

তাদের অর্থনৈতিক সলভেন্সি নেই। তাই সামাজিক মর্যাদা কম। ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা আমলাতান্ত্রিক শাসন দেশে আজ অবধি চলমান রয়েছে। আমলানিয়ন্ত্রিত দেশে একজন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকতার আর্থসামাজিক অবস্থা আকাশচুম্বী। তাদের অর্থনৈতিক সলভেন্সি, সামাজিক মর্যাদা ও প্রশাসনিক ক্ষমতা সীমাহীন। অথচ আমলা তৈরির কারিগররা সমাজে অবহেলিত! একটি উদাহরণের মাধ্যমে একজন আমলা ও একজন শিক্ষকের সামাজিক অবস্থান স্পষ্ট করা যেতে পারে।

আমলারা এ দেশের সর্বোচ্চ সরকারি সুবিধাভোগী নাগরিক। তারা তাদের নির্ধারিত বেতনের বাইরে নানাবিধ সুবিধা পেয়ে থাকেন। শুধু বাবুর্চি অ্যালাউন্স বাবদ তারা মাসে ১৬ হাজার টাকা ভাতা পান! বাসভবনে নিরাপত্তা অ্যালাউন্স বাবদ ভাতা পান ১৬ হাজার টাকা! প্রতি মাসে না হলেও একজন আমলা বছরে অন্তত ২/১ বার বিদেশ ভ্রমণে যান। এ উপলক্ষ্যে টিএ/ডিএ বাবদ পান কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা! একজন আমলা বিনা সুদে গাড়ি ক্রয়ের সুবিধা পেয়ে থাকেন। যার মূল্য পদভেদে ৫০ লাখ থেকে কোটি টাকা!

গাড়ির জ্বালানি খরচ বাবদ প্রতি মাসে তিনি পান ২০ হাজার টাকা। এছাড়া আবাসিক টেলিফোন ভাতা, সেলফোন ভাতা, ইন্টারনেট মডেম ভাতা, আপ্যায়ন ভাতা, ডোমেস্টিক ভাতাসহ নানা ভাতাদি পেয়ে থাকেন! চাকরি শেষে একজন আমলা প্রচুর টাকা পান। চাকরি শেষে একজন আমলা নিরাপদ জীবনের গ্যারান্টি পান। তাদের সন্তানদের মানুষ করার গ্যারান্টি পান। তাদের সন্তানরা এদেশে পড়ে না। সন্তানদের বিদেশ পাঠিয়ে তারা সুশিক্ষা নিশ্চিত করেন। সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করেন। তাদের অনেকে দেশের সব আয়-রোজগার বিদেশে ইনভেস্ট করেন। একসময় তিনিও বিদেশে পাড়ি জমান। বিদেশের মাটিতে নিশ্চিত ও সুন্দর আগামী গড়েন।

বিপরীতে আমাদের দেশের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের হাল হকিকত সবারই জানা। জীর্ণকায় শরীরে অপুষ্টিতে ভোগা একজন চুলপাকা বুড়ো মানুষই হলো বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত একজন শিক্ষক। যার কপালের প্রতিটি ভাঁজে দারিদ্র্যের কশাঘাতের ঘাম ভরপুর। তার সন্তানদের ভবিষ্যৎ একেবারেই অনিশ্চিত। অথচ দেশ এবং জাতির উন্নয়ন নির্ভর করছে এসব শিক্ষকের ওপর।

ন্যাশনাল ছাত্রমিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে মোঃ সাব্বির হোসেনের পরিচালনায় প্রশিক্ষণ কর্মীসূচীতে আরো বক্তব্য রাখেন বরগুনা জেলা ন্যাশনাল লেবার পার্টির নেতা আবু সালেহ ও নিয়ামূল ইসলাম সিয়াম প্রমুখ।

নির্বাচন নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না।
——————————————————
লায়ন মোঃ ফারুক রহমান
—————————————————–

আজ ৯ অক্টোবর ২০২৫ ইং,রোজ বৃহস্পতিবার কালভার্ট রোডস্থ জামান টাওয়ারে নিজস্ব কার্যালয়ে ন্যাশনাল লেবার পার্টি কর্তৃক আয়োজিত

মাইদুল ইসলাম আসাদের সভাপতিত্বে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আলোচনা সভায় বরগুনা -২ আসন ( পাথরঘাটা – বামনা- বেতাগী) গণমানুষের নেতা, ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ ফারুক রহমান বলেছেন নির্বাচন নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না।

জাতীয় নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করার ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ চলছে তাই সবাই কে সজাগ থাকতে হবে।

“আজকে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে যে, সেই নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করবার। কেউ যেন সেটাকে (নির্বাচন) ভিন্ন খাতে পরিচালিত করতে না পারে, সে দিকে আপনারা সজাগ সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন।”

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে এই সনদ বাস্তবায়নের কথা বলছে।

লায়ন ফারুক বলেন ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ নেই। ষড়যন্ত্রকারীরাই এখন হতাশ। গণতন্ত্রকামী সকল রাজনৈতিক ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বিরোধী জোটের মধ্যে পতিত আওয়ামী স্বৈরশাসক নিজেদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে, কোন লাভ হয়নি।

বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তির মূল শিকড় হচ্ছে বিএনপি। তাদেরই সহযোগী হচ্ছে ন্যাশনাল লেবার পার্টি। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সবসময়ই ন্যাশনাল লেবার পার্টি বিএনপির পাশে ছিলো। আগামীতেও আমরা জাতীয়তাবাদী শক্তির সাথে থাকবো। আর বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তির মূল শিকড় হচ্ছে বিএনপি।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন
ন্যাশনাল লেবার পার্টির মহাসচিব লায়ন এড.মোঃজাকির হোসেন, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, ন্যাশনাল লেবার পার্টির দলীয় মুখপাত্র মোঃ শরিফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান, কুমিল্লা জেলা ন্যাশনাল লেবার পার্টির সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলম, কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি মোঃ আনিছুর রহমান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের নেতা মোঃ রাকিবুল ইসলাম ও রাজীব ফকির।

উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য মোঃ মনিরুল ইসলাম খোকন ও আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।

বিপ্লবীরা মরে না বিপ্লবীরা সদা জাগ্রত
—————————————————
ন্যাশনাল লেবার পার্ট
—————————————————
আজ ৮ অক্টোবর ২০২৫ ই রোজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আব্দুস সালাম হলে জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত মোঃ বাহারানে সুলতান বাহার এর স্বরণ সভায় ন্যাশনাল লেবার পার্টির দলীয় মুখপাত্র মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেছেন বিপ্লবীরা মরে না বিপ্লবীরা সদা জাগ্রত ;শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন সদকায়ে জারিয়া। বাহার ভাই শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজিবন লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন।

শ্রমিক আন্দোলনের এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন ও ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা মোঃ বাহারানে সুলতান বাহার আজ আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তার রেখে যাওয়া কাজ গুলো আমাদের শেষ করতে হবে।তার মৃত্যুতে শ্রমিক আন্দোলনে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে।
মোঃ বাহারানে সুলতান বাহার দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ, ন্যায্য মজুরি, শ্রম আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং ভাড়াটিয়াদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের আস্থার প্রতীক। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, দৃঢ়চেতা মনোভাব এবং সংগ্রামী জীবনের জন্য শ্রমিক সমাজে তিনি বিশেষভাবে শ্রদ্ধেয় ছিলেন।
তার নেতৃত্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন শক্তিশালী রূপ পেয়েছিল। একইসাথে ভাড়াটিয়া পরিষদের মাধ্যমে নিম্নআয়ের মানুষদের ভাড়ার ন্যায্যতা ও আবাসন সংক্রান্ত নীতিগত সমস্যাগুলো তুলে ধরেছিলেন। তার সংগ্রামের ফলে বহু শ্রমিক পরিবার ও সাধারণ ভাড়াটিয়া উপকৃত হয়েছে।
তার মৃত্যুতে রাজধানীসহ সারা দেশে শ্রমিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং শ্রমজীবী মানুষরা তাকে হারিয়ে গভীরভাবে মর্মাহত।
“মরহুম মোঃ বাহারানে সুলতান বাহার ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের একজন অকৃত্রিম বন্ধু। শ্রমিক অধিকার ও ভাড়াটিয়াদের স্বার্থ রক্ষায় তার অবদান ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার প্রয়াণে দেশ একজন নিবেদিতপ্রাণ শ্রমিক নেতাকে হারিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন বলেন
শ্রমিক আন্দোলনের এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন ও ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা।
মোঃ বাহারানে সুলতান বাহার দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ, ন্যায্য মজুরি, শ্রম আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং ভাড়াটিয়াদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের আস্থার প্রতীক। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, দৃঢ়চেতা মনোভাব এবং সংগ্রামী জীবনের জন্য শ্রমিক সমাজে তিনি বিশেষভাবে শ্রদ্ধেয় ছিলেন।
তার নেতৃত্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন শক্তিশালী রূপ পেয়েছিল। একইসাথে ভাড়াটিয়া পরিষদের মাধ্যমে নিম্নআয়ের মানুষদের ভাড়ার ন্যায্যতা ও আবাসন সংক্রান্ত নীতিগত সমস্যাগুলো তুলে ধরেছিলেন। তার সংগ্রামের ফলে বহু শ্রমিক পরিবার ও সাধারণ ভাড়াটিয়া উপকৃত হয়েছে।

তার মৃত্যু সংবাদে রাজধানীসহ সারা দেশে শ্রমিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং শ্রমজীবী মানুষরা তাকে হারিয়ে গভীরভাবে মর্মাহত।

স্বরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ নূরে আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আব্দুস সালাম।

আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন।

সঞ্চালনা করেন মোহাম্মদ মোস্তাফা ;
সভা শেষে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

 

অসম্মানকারিদের ধিক্কার জানাই
নিন্দা জানাই
———————————————-
লায়ন মোঃ ফারুক রহমান
———————————————-
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং,রোজ বৃহস্পতিবার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত দলের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আওয়ামী দোসরদের দেশ- বিদেশে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে

প্রতিবাদ সমাবেশে বরগুনা -২ আসন ( পাথরঘাটা – বামনা- বেতাগী) গণমানুষের নেতা, ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ ফারুক রহমান বলেছেন নিউইয়র্কে নেতৃবৃন্দকে অসম্মানকারিদের ধিক্কার জানাই নিন্দা জানাই।

 আওয়ামী লীগ জাতি সংঘে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করতে চায়। তারা দেশ থেকে পালিয়েছে এখন প্রবাসেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা শারিরীক ভাবে হেনস্থার শিকার হয়েছেন ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও এনসিপির সেক্রেটারি আখতার হোসেন। এসময় ড. ইউনুসের অন্যান্য সফরসঙ্গীদের ওপরেও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সর্বদলীয় ঐক্য গড়ে এদের সমূলে উৎখাত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম না চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের বি- টিম জাতীয় পার্টির মাধ্যমে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে ; এ ব্যাপার সবাই কে সজাগ থাকতে হবে।
ডিম নিক্ষেপের ঘটনার বিষয়ে লায়ন ফারুক বলেন অন্তবর্তীকালিন সরকার ড. ইউনুস কোন ভাবেই দায় এড়াতে পারে না, দেশের এই পরিস্হিতিতে সরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত। নির্বাচন বিলম্বিত হলে জনগন কোন ভাবেই রেহাই দিবে না।

নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ,জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের সভাপতি নূর আফরোজ জ্যোতি,পিরোজপুর পুর জেলা বিএনপির নেতা আলমগীর হোসেন, ন্যাশনাল লেবার পার্টির দলীয় মুখপাত্র মোঃ শরিফুল ইসলাম, সমবায় দলের নেতা শাহ আলম বাবলু, জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যান পরিষদের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন খোকন, ন্যাশনাল লেবার পার্টির ঢাকা মহানগর সভাপতি মাইদুল ইসলাম আসাদ, রাজীব ফকির, সুজন সখী প্রমুখ।

সোহাগের খুনিদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দিতে হবে
———————————————-
ন্যাশনাল লেবার পার্টির দলীয় মুখপাত্র শরিফুল (চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ ফারুক রহমান)
————————————————————————————————————————–
ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ ফারুক রহমানের দলীয় মুখপাত্র মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেছেন মিডফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগের হত্যাকারীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দিতে হবে।

তিনি আজ দলীয় কার্যালয়ে বিকাল ৫.৩০ এক প্রতিবাদ সভায় একথা বলেন, ঢাকা মহানগরী মিটফোর্ডে নির্মমভাবে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদ ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন।
শরিফুল ইসলাম বলেন, অপশাসন-দুঃশাসন এবং জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ক্ষমতায় টিকে ছিলো। তারা নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য জনগণের ওপর দীর্ঘ পরিসরে জুলুম- নির্যাতন চালিয়েছিলো। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি বরং ছাত্র-ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে তাদেরকে লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। আজ যারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দিবাস্বপ্নে বিভোর, তারা যদি পতিত স্বৈরাচারের পরিণতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ না করে, তাহলে তারা ১৫ মাসও ক্ষমতায় টিকতে পারবে না। পতিত ফ্যাসীবাদীরা ২৮ আক্টোবর প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে পিটিয়ে হত্যা করে লাশের ওপর পৈশাচিক নৃত্য চালিয়েছিলো। তাদের শাসনামলে জনগণের ওপর হেলমেট বাহিনী লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু এখন তাদের অনুপস্থিতিতে বড় পাথর বাহিনী আবির্ভাব ঘটেছে। তারাই মিডফোর্টে ব্যবসায়িকে পাথর মেরে হত্যা করে নিজেদের বর্বরতার জানান দিয়েছে। তিনি অবিলম্বে সকল প্রকার বর্বরতা বন্ধ, গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচনে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করতে অন্তঃবর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় আবু সাঈদ- মুগ্ধের উত্তরসূরীরা ঘরে বসে তামাশা দেখবে না।

তিনি বলেন, আবু সাঈদ-মুগ্ধের দেশে কোন প্রকার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলদার, হেলমেট বাহিনী, রড বাহিনী ও পাথর বাহিনীর স্থান নেই বরং জনগণ এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে ঘোষণা করেন যে, ‘আমরা কোন বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নই বরং আমরা সকল প্রকার অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে’।

তিনি প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ‘অপরাধ দমনে ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে জনপ্রশাসনকে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। এতে যদি আপনারা ভয় পান তাহলে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে পদত্যাগ করুন। বিপ্লবীরা নতুন করে জনপ্রশাসনকে গণবান্ধব করে ঢেলে সাজাবে, যাতে নতুন প্রশাসন খুনী, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে’। তিনি বিপ্লবীদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

আর কত মায়ের বুক খালি হবে
আর কত পিতা তার সন্তান কে হারাবে
আর কত স্ত্রী তার স্বামীকে হারাবে
আর কত বোন তার ভাই কে হারাবে
আর কত ভাই তার ভাই কে হারাবে।

ইসলামের ইতিহাসে বলু তামিমের একটি ঘটনা, যুগটা ছিল আইয়ামে জাহিলিয়াত অর্থাৎ অন্ধকার যুগ তখন মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ পাপ ছিল।
তো এক বনিক বানিজ্য থেকে ফিরে এসে দেখে মেয়ে সন্তান, স্ত্রী ভাবছিল এখন বড় হয়েছে মনে হয় মারবে না স্বামীকে বিশ্বাস করে অকপটে সব ঘটনা বলে দিলেন।
বাবা চিন্তা করল এই মেয়ে বড় হবে বিয়ে দিতে হবে আমি সমাজ পতি এটি কি লজ্জার; এই ভেবে একটি পাহারের নির্জন জায়গায় নিয়ে গেল এর পর গর্ত খনন শুরু করে দিল, গর্ত করছে বাবা দাড়িতে মাটি লাগছে মেয়ে সাফ করছে এরপর যখন গর্ত খনন শেষ হয়ে গেল তখন মেয়ে বুঝতে পারল আমাকে মেরে ফেলবে,মেয়েটি অনেক আর্তনাত করল আমাকে মেরো না আমি মেয়ে দাবি করব না।

বাবার মন নরম হলো না বাবা
পাথর নিক্ষেপ করলেন ফিনকি দিয়ে রক্ত গায়ে লাগল এবং মেয়ে চিৎকার করে বাবা বলে ডাক দিল বাবা বলছে সেই ডাক এখনও আমার কানে আসে।
রাসূলে কারিম (সাঃ) যখন এই বর্ণনা শুনতে ছিলেন তখন রাসূলের চোখ দিয়ে পানি পড়ে দাঁড়ি মোবারক ভেসে যাচ্ছিলেন। রাসূল বললেন একমাত্র ওহির (কোরআন) জ্ঞান না থাকায় মানুষ এভাবে জাহেল হতে পারে।
সেই যুগের মত আজও পাথর নিক্ষেপের মত ঘটনা সমাজে ঘটছে।


তাই ওমর- ই সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠা ছাড়া এ কান্না থামবে না।

নৃশংসতা এখন আর কেবল রাজনীতির প্রতিক্রিয়া নয়—এটা আমাদের সমাজের রক্তপ্রবাহে মিশে গেছে।
একসময় এই পাশবিকতা ছিল রাজা-বাদশাহদের দমন-পীড়নের ভাষা, আজ তা হয়ে উঠেছে “ক্ষমতাবান” মানুষের প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা বা “ক্ষমতা” দেখানোর উপায়।

আমরা যখন লাঠি, চাপাতি বা পাথর হাতে তুলে প্রতিপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ি, তখন মনে করি না সে একজন মানুষ—বরং আচরণ করি যেন সে পিষে ফেলার মতো কোনো কীটপতঙ্গ।

এই মনোভাব শুধু আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা নয়—এটি এক অবক্ষয়িত সমাজের ভয়ঙ্কর প্রতিচ্ছবি।

ফরাসি দার্শনিক রেনে জিরার (René Girard) বলেছিলেন, সমাজ যখন সহিংসতা সামলাতে ব্যর্থ হয়, তখন তা এক ধরনের ‘রিচুয়ালাইজড’ নৃশংসতায় রূপ নেয়, যাতে ব্যক্তি নয়, পুরো সমাজ জড়িয়ে পড়ে।

এই বাংলাদেশে আজ আমরা সেই অবস্থার কাছাকাছি পৌঁছেছি।

এই নৃশংসতার দায় কেবল রাজনীতির নয়—এটা আমাদের সম্মিলিত সামাজিক ব্যর্থতা। অবশ্যই সরকার ও রাজনৈতিক দলের দায় সবার আগে। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা যখন প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটে, তখন সম্মিলিতভাবে আমরা কেউই এর দায় এড়াতে পারি না।

প্রতিটি প্রকাশ্য হত্যাকাণ্ডের পেছনে আমরা সবাই কোনো না কোনো রকমে দায়ী—কেউ নীরব থেকে, কেউ উৎসাহ দিয়ে, কেউ অবহেলা করে।

সরকার হয়ত আরেকটা “অপারেশন ক্লিন হার্ট”-এর মাধ্যমে সাময়িক একটা সমাধান দিতে পারে। কিন্তু সমাজের হার্টে যে রোগ হয়েছে, তা ক্লিন করার জন্য প্রয়োজন আরও গভীর ও দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা।
আসুন আমরা ওমর-ই সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হই।
————————————————-
মোঃ শরিফুল ইসলাম
দলীয় মুখপাত্র
ন্যাশনাল লেবার পার্টি

কচ্ছপ গতিতে চললে গভীর সংকটে পড়ার সম্ভাবনা আছে।
——————————————————————————————
লায়ন মোঃ ফারুক রহমান

আজ ৮ জুলাই ২০২৫ ইং,রোজ- মঙ্গলবার, জাতীয় প্রেসক্লাব ভিআইপি লাউন্জ। দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের মাগফেরাত কামনায় স্বরণ সভায় বরগুনা-২ আসন ( পাথরঘাটা- বামনা- বেতাগী) গণমানুষের নেতা,ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা; জননেতা লায়ন মোঃ ফারুক রহমান বলেছেন কচ্ছপ গতিতে চলতে থাকলে আমাদের গভীর সংকটে পড়ার সম্ভাবনা আছে; আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি একটি ভালো নির্বাচনের জন্য। ২৪ এর গনঅভ্যুথ্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন লায়ন ফারুক রহমান।

তিনি বলেন, ‘যেভাবে জাতি ১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভুলে যায়নি, ঠিক একইভাবে ২৪’র বীর শহীদদেরও কখনো ভুলবে না। স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে গণআন্দোলনে দেশের মানুষ সুন্দর ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষায় বারবার অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু এরপরও সাম্য-ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশের স্বপ্ন অধরাই থেকেছে। বারবার দেশের কাঁধে চেপে বসেছে ফ্যাসিবাদ আর অপশাসনের ভূত।’

এই ধারার অবসান চেয়ে ফারুক রহমান প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমাদের প্রশ্ন, সবার প্রশ্ন–মানুষ কি এভাবেই জীবন দিতে থাকবে তাহলে ? এই মানুষগুলো কিন্তু কানাডার বেগমপাড়ায় বসবাস, মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম কিংবা সুইস ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার দাবিতে আন্দোলন করেনি। তাদের দাবি ছিল, রাষ্ট্র ও সমাজে গণতন্ত্র এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা।’

চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের শেকল ছিঁড়ে বাংলাদেশের মানুষ এখন মুক্ত। সেই গণআন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়, সেজন্য এখনো উদ্যোগী হতে আহ্বান জানিয়েছেন লায়ন ফারুক রহমান।

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। আরও একবার ভুল করা চলবে না। জনগণের সরাসরি ভোটে, জনগণের প্রতি জবাবদিহিমূলক নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়েই শহীদদের কাঙ্ক্ষিত একটি ইনসাফভিত্তিক গণতান্ত্রিক, মানবিক বাংলাদেশ গড়তে হবে। এর মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি আমাদের ঋণ পরিশোধের এখনই সময়।’

রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে স্বরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জনাব শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জনাব হাবিবুর রহমান হাবিব, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম,গণফোরামের সেক্রেটারী সুব্রত বরুয়া,ন্যাশনাল লেবার পার্টির দলীয় মুখপাত্র মোঃ শরিফুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাইদুল ইসলাম আসাদ, মৎসজীবি দলের সুজন শখী,দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সহ সভাপতি রাকিব মন্ডল, শোয়েব, অর্থ সম্পাদক রাজিব ফকির।

উপস্হিত ছিলেন বিএনপি নেতা সাদী,ন্যাশনাল ছাত্রমিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।

দুঃসময়ের সাহসী কন্ঠ এনটিভির ২৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে : লায়ন ফারুক রহমান

আজ ৩ রা জুলাই ২০২৫ ইং রোজ- বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা,এনটিভির ২৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন ফালু কে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়েছেন বরগুনা-২ আসন (পাথরঘাটা- বামনা- বেতাগী) গন মানুষের নেতা, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা গরীব দুঃখী মানুষের পরম বন্ধু জননেতা লায়ন মোঃ ফারুক রহমান। তিনি বলেন স্বৈরাচারের সময়ও সাহসিকতার সঙ্গে কথা বলেছে স্বাস্থ্যখাতে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান প্রচারে এনটিভির অবদান প্রশংসনীয়’

ফুলেল শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত এনটিভি বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও ইতিবাচক সংবাদ প্রচারে কাজ করে যাচ্ছে। ২২ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক অবদান রেখেছে এনটিভি মানুষের হৃদয় জয় করেছে।

দেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি ২৩ বছরে পদার্পণ করেছে। এটা একটি টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য অত্যন্ত আনন্দের কথা। ২২ বছর সফলভাবে তারা চ্যানেলটি চালিয়েছে এবং বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে এনটিভি নিঃসন্দেহে প্রথম শ্রেণির ও যোগ্য একটি প্রতিষ্ঠান।বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এনটিভি বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় বিশেষ ভাবে জয় করতে সক্ষম হয়েছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান, যা আমাদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। আর ধর্মভিত্তিক কিছু অনুষ্ঠান আছে যেগুলো সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।এনটিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সংবাদকর্মী ভাই-বোন ও এনটিভির দর্শকদেরকে আমার দল ন্যাশনাল লেবার পার্টির পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
এ আরো ফুলেল শুভেচছা দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, আলম সর্দার।
উপস্হিত ছিলেন ন্যাশনাল লেবার পার্টির দলীয় মুখপাত্র মোঃ শরিফুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় সমবায় দলের সদস্য শাহ আলম বাবলু, ঢাকা মহানগর ন্যাশনাল লেবার পার্টির সভাপতি মাইদুল ইসলাম আসাদ,রাজীব ফকির, সুজন সখী, সাগর আহমেদ প্রমুখ।

নির্বাচিত সরকার ছাড়া মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না : লায়ন ফারুক

নারায়ণগঞ্জে ‘জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান।

নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব, অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ এখন ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে। তা ছাড়া দেশকে স্থিতিশীল করতে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই।

বুধবার (০২ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি রেস্তোরাঁয় ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত ‘জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লায়ন ফারুক এসব কথা বলেন।

১২ দলীয় জোটের অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, সম্পদ ও সম্ভাবনায়-সমৃদ্ধ প্রিয় বাংলাদেশ বিগত ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফ্যাসিবাদী শাসনের নিপীড়নে জর্জরিত ছিল। আওয়ামী দুঃশাসনে ভিন্নমতের মানুষদেরকে অসহনীয় নির্যাতন করে দমন করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, রিমান্ডের নামে অত্যাচার, গুম-খুন, জেল-জুলুম, আয়নাঘর, অপহরণ, বাকস্বাধীনতা হরণ, সভা-সমাবেশের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। দুঃসহ এই পরিস্থিতি থেকে জাতিকে মুক্ত করে গত বছরের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। এতে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি নেতা আল ইউসুফ খান টিটু, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, ন্যাশনাল লেবার পার্টির দলীয় মুখপাত্র মো. শরিফুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান জুয়েল, সুজন শখী প্রমুখ।

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে

রাষ্ট্রের মূলনীতিসহ ৫ ইস্যুতে দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে বেড়িয়ে আসছেন ১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন।
———————————————–

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ২য় ধাপের বৈঠক শেষ হয়েছে । এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।

অন্য বিষয়গুলো হলো- দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ (উচ্চ কক্ষের নির্বাচন পদ্ধতি), জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন কাঠামো, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি ও সংসদের নারী প্রতিনিধিত্ব।

বেলা ১১টায় শুরু হওয়া বৈঠকের ৬ষ্ঠ দিনে আজও (বুধবার) যোগ দিয়েছেন বিএনপি জামায়াতসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা। 
আলোচনার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। এ সময় তিনি রাষ্ট্র ও জাতির স্বার্থকে ঊর্ধ্বে রেখে সবাইকে কিছুটা ছাড় দিয়ে জাতীয় সনদের জায়গায় ঐক্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানান।
বৈঠকে উপস্হিত আছেন
বরগুনা -২ আসন ( পাথরঘাটা – বামনা- বেতাগী) গণ মানুষের নেতা, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা লায়ন মোঃ ফারুক রহমান ও জোটের মুখপাত্র এবং এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন সেলিম।

১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবসে লায়ন মোঃ ফারুক রহমান চেয়ারম্যান - ন্যাশনাল লেবার পার্টি

আজকের এই ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন তৎকালীন আওয়ামী বাকশাল সরকার সরকারি প্রচারপত্র হিসেবে চারটি পত্রিকা রেখে বাকি সব পত্রিকার প্রকাশনা বাতিল করে দেয়। এতে সাংবাদিকসহ কয়েক হাজার সংবাদকর্মী রাতারাতি বেকার হয়ে দুঃসহ জীবনে পতিত হন। শেখ মুজিব সরকারের ন্যক্কারজনক হস্তক্ষেপের ফলে রুদ্ধ হয়ে যায় গণমাধ্যম, রাজনৈতিক, গোষ্ঠীগত ও বাক-ব্যক্তির স্বাধীনতা। সংবাদমাধ্যম ও বাক-স্বাধীনতা হরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত। সরকারের এমন নিবর্তনমূলক অধ্যাদেশ জারির দিনটিকে ১৯৭৬ সাল থেকে সাংবাদিক সমাজ সংবাদপত্রের কালো দিবস হিসেবে পালন

জানা যায়, দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র তিন বছর পর সংসদে আনা হয়েছিল সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ পরিপন্থী এই সংশোধনীর ফলে জাতির ঘাড়ে চেপে বসে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশালের জগদ্দল পাথর। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছর ১৬ জুন বিতর্কিত বাকশাল সরকার সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। সরকারি প্রচারপত্র হিসেবে চারটি পত্রিকা সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রকাশ করা হয়। এতে সাংবাদিকসহ কয়েক হাজার সংবাদকর্মী বেকার হয়ে দুঃসহ জীবনযাপনে বাধ্য হন। সংবাদমাধ্যম ও বাক-স্বাধীনতা হরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি কালো অধ্যায়।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ’৭৫ সালের নভেম্বরে সিপাহি-জনতার বিপ্লবে রাষ্ট্রমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে সংবিধানে জনগণের কাক্সিক্ষত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করে বাকশাল সরকারের সব প্রকার অগণতান্ত্রিক কালো ধারা বাতিল এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।

তবে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে- তখনই সংবাদমাধ্যমকে টার্গেট করেছে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে মতায় এসেও একই পথ অনুসরণ করে দলটি। বিগত ১৬ বছরে জনপ্রিয় অনেক সংবাদপত্র, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, চ্যানেল ওয়ানসহ অনেক অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে শত শত সংবাদকর্মীকে বেকারত্বের মুখে ঠেলে দেয়। ফ্যাসিস্ট সরকারের কালো থাবায় সংবাদমাধ্যম ছিল পুরোপুরি শৃঙ্খলিত। সরকারের রক্তচক্ষুর সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে। বস্তুনিষ্ঠ ও সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। অকল্পনীয় হুমকির মুখে পড়ে সাংবাদিকদের জীবন ও জীবিকা। সাগর-রুনিসহ অনেক সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। পিটিয়ে আহত করা হয়েছে অগণিত গণমাধ্যমকর্মীকে। 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সাইবার সিকিউরিটি আইনসহ নানা কালাকানুন করে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের কারারুদ্ধ ও কণ্ঠরোধ করা হয়। অপরদিকে এক শ্রেণীর দলীয় সাংবাদিক সরকারের তোষামোদিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে সংবাদপত্র ও টেলিভিশন নিরপেক্ষতা হারায়। ফলে গণমাধ্যমের প্রতি জনগণের আস্থা কমে যায় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

গত বছরের জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরে এসেছে। তবে এখনো অনেক গণমাধ্যমে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা বহাল তবিয়তে থেকে অপতথ্য পরিবেশন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করে আসছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ না থাকায় অনেক গণমাধ্যম স্বপ্রণোদিত হয়ে তোষামোদিতে নেমেছে। এ ছাড়া ডিজিটাল মাধ্যমে ‘ভিউ ব্যবসার’ কারণেও ভুল তথ্য পরিবেশন করছে কোনো কোনো অনলাইন মাধ্যম। এ কারণে সংবাদপত্রের প্রতি জনমনে এখনো পুরোপুরি আস্থা ফেরেনি, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য এখনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।

ঢাকাস্থ পাথরঘাটা উপজেলা সমিতির সদস্যরা

গতকাল ঢাকাস্থ পাথরঘাটা উপজেলা সমিতির সদস্যরা পাথরঘাটায় এক মিলনমেলার আয়োজন করে।এতে উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান ভাই,জিয়া পরিষদের President (Rupali Bank) AGM গোলাম সরোয়ার,রুপালী ব্যাংকের AGM সোহেল মামা,রেল মন্ত্রণালয়ের ৩৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা সাদেকুল ভাই,সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার কীর্ত্তনীয়া, পাথরঘাটা সৌদী প্রবাসী হাসপাতালের মালিক আব্দুল জলিল,মাওলানা ফোরকান গাজী,BRACএর কর্মকর্তা মনির হোসেন। পাথরঘাটা পৌরসভার জুলফিকার আলী প্রমুখ।প্রোগ্রামের শেষে পাথরঘাটা বিএনপির আহবায়ক চৌধুরী মো: ফারুক সবাইকে এমন চমৎকার আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

বরগুনা -২ আসন পাথরঘাটা – বামনা- বেতাগীর গণমানুষের নেতা, ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ ফারুক রহমান এলাকাবাসীর মাঝে কোরবানির গোস্ত বিতরণ করেন।

ঢাকাস্থ পাথরঘাটা উপজেলা সমিতির সদস্যরা

গতকাল ঢাকাস্থ পাথরঘাটা উপজেলা সমিতির সদস্যরা পাথরঘাটায় এক মিলনমেলার আয়োজন করে।এতে উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান ভাই,জিয়া পরিষদের President (Rupali Bank) AGM গোলাম সরোয়ার,রুপালী ব্যাংকের AGM সোহেল মামা,রেল মন্ত্রণালয়ের ৩৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা সাদেকুল ভাই,সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার কীর্ত্তনীয়া, পাথরঘাটা সৌদী প্রবাসী হাসপাতালের মালিক আব্দুল জলিল,মাওলানা ফোরকান গাজী,BRACএর কর্মকর্তা মনির হোসেন। পাথরঘাটা পৌরসভার জুলফিকার আলী প্রমুখ।প্রোগ্রামের শেষে পাথরঘাটা বিএনপির আহবায়ক চৌধুরী মো: ফারুক সবাইকে এমন চমৎকার আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সাথে ১২-দলীয় জোটের বৈঠক

আজ ১২ দলীয় জোট, জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সাথে জাতীয় সংসদ ভবনে এল ই ডি হলে বৈঠকে উপস্হিত আছেন ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান (লেবার পার্টি বাংলাদেশ) লায়ন মোঃফারুক রহমান।

জাতীয় ঐক্যমত কমিশনে প্রেস বিফিং

জাতীয় ঐক্যমত কমিশনে প্রেস বিফিং করছেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র, উপস্থিত আছেন ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান (লেবার পার্টি বাংলাদেশ) লায়ন মোঃফারুক রহমান।

পিজি হাসতাপালে ভর্তি হওয়া বন্ধু নিজাম

সড়ক দুর্ঘটনায় পিজি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বন্ধু নিজামকে দেখতে ছুটে যান ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ ফারুক রহমানের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মোঃ মাঈদুল ইসলাম আসাদ।

পিজি হাসতাপালে ভর্তি হওয়া বন্ধু নিজাম

সড়ক দুর্ঘটনায় পিজি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বন্ধু নিজামকে দেখতে ছুটে যান ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ ফারুক রহমানের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মোঃ মাঈদুল ইসলাম আসাদ।

------------শোকবার্তা-----------

জনতার অধিকার পার্টির মহাসচিব এম এ রাজা রহমান এর মমতাময়ী মা আলহাজ্ব সামছুন নাহার ( ৬৮) গতরাত আনুমানিক ২ টায়, চাঁদপুরের নিজ বাসায় ইন্তেকাল করিয়াছেন। ইন্না-লিল্লাহী-----রাজিউন। মহান আল্লাহ মরহুমার ভূল ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে জান্নাতুন ফেরদৌসের উচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত করুন। আমিন।